গানের নতুন তারা...নন্দী সিস্টার্স

অন্তরা এবং অঙ্কিতা নন্দী। তাঁদের গানের সুরে মেতেছে নেটিজেনরা। হিন্দি এবং বাংলা সিনেমার মহীরুহ শিল্পীরাও এই দুই বোনের সুরের জাদুতে বুঁদ। তাঁদের সঙ্গে কথা বললেন সায়ক বসু

আপনারা কি যমজ? অঙ্কিতা: না! আমি দিদির চেয়ে সাড়ে তিন বছরের ছোট। আমাদের একই রকম দেখতে লাগে বলে এমন মনে হয়।

আপনাদের একে অপরের গান শুনতে কেমন লাগে? অন্তরা: এই প্রশ্নটা আজ অবধি আমাদের কেউ করেননি। শুনে ভাল লাগল। দেখুন, আমরা একে অপরের গান সেভাবে শুনেছি বলে মনে হয় না। মানে ভাল, খারাপ কানে লাগার মতো করে শুনিনি কখনও।

অঙ্কিতা: আমি শুনেছি। বলতে পারেন, জন্মের পর আমার কান খুলেছে দিদির গান শুনে। এবং দিদির গান শুনেই বড় হয়েছি, ওর গান শুনেই শিখেছি। তাই বলতে পারি, দিদির মতো গাইতে পারাটাই আমার কাছে অ্যাচিভমেন্ট। আমি কোনও ফর্মাল ট্রেনিং পাইনি। দিদির কাছে যেটুকু শিখেছি, ওটাই শিক্ষা।

অন্তরা: আমরা আসলে একে অপরের চেয়ে অনেকটা আলাদা। আমি ঘন্টার পর ঘণ্টা রেওয়াজ করতে পারি। অঙ্কিতা সেটা করে না। কিন্তু ওর সবচেয়ে বড় গুণ হল, ও যেভাবে যে কোনও তান বা গান তোলে। ধরুন কোনও তান শিখতে আমার হয়তো মাসের পর মাস লেগে গেল। কিন্তু ও হঠাৎ করে, খুব তাড়াতাড়ি সেটা আয়ত্ত করে ফেলে। এটা অবাক করার মতো বিষয়।

তার কারণ কি এটা হতে পারে যে, অঙ্কিতা যেহেতু ছোটবেলা থেকে আপনার গান শুনেছেন, তাই এটা পারেন। আপনি তো ছোটবেলা থেকে এইভাবে কারও গান শোনেননি। অঙ্কিতা: এটা ঠিক বলেছেন। আমি ‘তানসেন’ হওয়ার আগে ‘কানসেন’ হয়েছি। দিদি আমার অ্যালার্ম ক্লক ছিল। ভোর পাঁচটায় দিদির ‘সা’ শুনে আমার ঘুম ভাঙত। অন্তরা: আর পাঁচটা সাধারণ বাড়িতে যেভাবে গান শোনা হয়, আমি সেইভাবেই শুনেছি। বাড়িতে মা বাবা গান শুনতে ভালবাসতেন। তারপর শিখেছি। 

অঙ্কিতা, দিদি কি খুব কড়া শিক্ষিকা? অঙ্কিতা: হ্যাঁ। আমরা এমনিতে টম অ্যান্ড জেরির মতো। সব সময় ঝগড়া করি। কিন্তু যে সময় গান করি, তখন মনের অমিল হয় না। আমি এক জায়গায় বসে থাকতে পারি না বেশিক্ষণ। সেদিক থেকে স্বীকার করতেই হবে যে, দিদি যদি বকে-সকে গান গাওয়াতে না বসাত, তা হলে যেটুকু পেয়েছি, সেটুকুও পারতাম না।

অন্তরা, আপনার গান শেখার গল্পটা জানতে চাই...