কেরিয়ার শেষ হয়ে যাওয়ার ভয়ে অভিনেত্রীরা প্রেমের সম্পর্ক লুকিয়ে রাখতেন : দিয়া মির্জা

তবে জীবনের বিভিন্ন ক্ষেত্রে 'না' বলার ক্ষমতা থাকা খুব দরকার। সেটা আগে ছিল না।

২০১৮-তে দিয়া মির্জা তখন ‘সঞ্জু' ছবির প্রচার করছেন। রাজকুমার হিরানীর অফিসে তাঁর সাক্ষাৎকার নিতে বসেছি। মাঝপথে দিয়া অসুস্থ হয়ে পড়েন। মুখে অ্যালার্জি বেরিয়ে লাল হয়ে যায়, শ্বাসকষ্ট শুরু হয় এবং তাঁকে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। একদিন পর তাঁর সচিবের কাছ থেকে ফোন আসে, সেদিনের অসম্পূর্ণ ইন্টারভিউটা যদি শেষ করা যায় এবং দিয়া দুঃখিত সেদিন মাঝপথে তাঁকে চলে যেতে হয়েছিল বলে। ২০২৪-এর জুলাই মাসে আনন্দলোক পূজাবার্ষিকীর জন্য তাঁর ফোটোশুট করানোর দিন ঠিক একইরকম আন্তরিক, মাটির কাছাকাছি এক মানুষের সাক্ষাৎ পেলাম, যিনি ক্রু-এর জন্য চকলেট, ব্রাউনি নিয়ে এসেছিলেন এবং নিজে হাতে সকলকে দিয়েছিলেন। ফলে সেই উষ্ণতা নিয়েই শুরু হল কথা |

আপনার সঙ্গে কাজ করতে গিয়ে একটা উষ্ণতা আমরা অনুভব করেছিলাম। সেখানে কোনও ভণিতা ছিল না। থাকলে আমরাও ধরে ফেলতাম নিশ্চয়ই। এই আন্তরিকতা কি ২৪ বছর আগের দিয়ার মধ্যেও ছিল? এটা তো তারা বলতে পারবে, যারা ২৪ বছর আগে আমাকে ইন্টারভিউ করেছিল। কিন্তু এটা তো খুব বেসিক। আমরা এমন একটা প্রফেশনে আছি, যেখানে মানুষ আমাদের না চিনেও এত ভালবাসা দেয়। সেখানে এটুকু তাদের ফিরিয়ে দিতে পারব না? তবে কাজের জন্য অনেকে কমপ্লিমেন্ট দেয়, আপনি ব্যবহারের জন্য দিলেন, তার জন্য অনেক ধন্যবাদ। আমার মনে হয়, কাউকে যদি আমি সুন্দর কিছু মুহূর্ত দিতে পারি, যেটা তাকে সাময়িক একটা আনন্দ দেবে... তার চেয়ে ভাল আর কী হতে পারে?