চিত্ৰ ক'লা সিমা গ্যালারির তিন দশক পূর্তি উপলক্ষে তাঁদের প্রদর্শনীকক্ষে সম্প্রতি অনুষ্ঠিত হয়ে গেল ‘টুয়েলভ মাস্টার্স' শিরোনামের একটি বৃহদায়তন শো। এটিকে অবশ্য একাধিক প্রদর্শনীর সমাহার বলাই সঙ্গত, কারণ এখানে তিনটি আলাদা আলাদা সময়সীমায় চারজন করে শিল্পীর ছবি প্রদর্শিত হয়েছিল। এর ফলে বাংলার এই বারোজন কুশলী শিল্পীর বেশ অনেকগুলি করে ছবি দেখতে পেলেন দর্শক। একাধিক প্রজন্মের শিল্পীদের নিয়ে এ ধরনের প্রদর্শনীতে একটা ইতিহাসপ্রবণতা থাকবে, এরকমটা আমরা স্বাভাবিকভাবেই ধরে নিই, এবং তা রয়েছেও, শুধু তার চরিত্র আলাদা। ইতিহাসের কালক্রম, অর্থাৎ তার সরলরৈখিক চলনটিকে এঁরা প্রায় অস্বীকারই করেছেন বলা যায়— ফলে প্রতিটি পর্বেই প্রবীণ শিল্পীদের সঙ্গী হয়েছেন অপেক্ষাকৃত নবীন ও একেবারে সমকালের শিল্পীরাও। এই আলাদা আলাদা পর্বগুলির শিল্পীনির্বাচনের মধ্যেও শিল্প-ইতিহাসের একটা কথন রয়েছে, তা তাঁদের পৃথক, ব্যক্তিগত শিল্পপথগুলির একটা সাদৃশ্যবিন্দু নির্দেশ করে। আমরা তো এইভাবেই ইতিহাস পড়তে শিখেছি ইদানীং, কালক্রমের চেয়ে বিষয়ক্রমকে গুরুত্ব দিয়েছি বেশি, সময়কে রেখাস্রোতের মতো করে না দেখে তার মধ্যে চিনতে চেয়েছি জটিল ও অনেক ক্ষেত্রেই পুনরাবৃত্ত, স্পাইরালের সমাহার।
This story is from the October 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the October 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।