জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ার পর মধ্যবিত্ত বাঙালি বেশ খানিকটা স্বস্তি পেয়েছে। একটি আন্দোলনের যেমন বেশ কিছু ইতিবাচক দিক থাকে, তেমনই তার কৌশল নিয়ে আলোচনা বা সমালোচনার জায়গাও খুঁজে পাওয়া যায় প্রচুর। গত প্রায় তিন মাসে যে ধরনের আন্দোলন দেখা গেছে এবং তাতে বাঙালি মধ্যবিত্ত যে ভাবে অংশগ্রহণ করেছে, তার গুরুত্ব পশ্চিমবঙ্গের রাজনৈতিক এবং সামাজিক ক্ষেত্রে অপরিসীম। এখনই এই আন্দোলনকে সিঙ্গুরের মতো স্কুলপাঠ্য ইতিহাস বইয়ের সূচিপত্রে লিপিবদ্ধ করার প্রয়োজন নেই। তবে আপাতত এটুকু নথিবদ্ধ করা যাক যে, এমন আন্দোলন এ রাজ্যে (বাংলাদেশের সঙ্গে তুলনা এবং সম্পর্ক আপাতত বাদ থাক ) সাম্প্রতিক সময়ে একেবারেই দেখা যায়নি। সমাজে এর অভিঘাত যথেষ্ট। তবে যেটা বলছিলাম, বিশ্লেষণের ক্ষেত্রে যে-কোনও আন্দোলনের ইতিবাচক এবং নেতিবাচক, দু'টি দিক নিয়েই আলোচনা করা জরুরি। স্বীকার করতে কোনও দ্বিধা নেই, এত দিন জুনিয়র চিকিৎসকরা যে ভাবে অনশন ধর্মঘটে শামিল হয়েছিলেন, সেই সময় তাঁদের ত্রুটি বিশ্লেষণ অত্যন্ত অসংবেদনশীল হত। বরং একেবারে দলমত ভুলে তাঁদের পাশে দাঁড়িয়েছিলেন শুভবুদ্ধিসম্পন্ন বাঙালি। শাসক তৃণমূলের নেতানেত্রীরা ব্যঙ্গাত্মক কথা বেশ কিছু বলেছেন, হুমকি দেওয়ার চেষ্টা করেছেন, আবার তাঁদের মধ্যে অনেকে এই আন্দোলনকে প্রাণখুলে সরাসরি সমর্থনও করেছেন। তবে যে-কোনও বিষয় নিয়েই শাসক তৃণমূলের প্রকাশ্য বক্তব্যের মধ্যে এত স্ববিরোধীতা, এবং যেখানে দলীয় লাইন বিষয়টি একেবারেই অনুপস্থিত, সেখানে তাঁরা যে ঠিক কী বলছেন বা বলছেন না, তা বেশির ভাগ সময়েই দ্বান্দ্বিক, অসরলরৈখিক এবং অস্পষ্ট। যা স্পষ্ট তা হল, দিনের শেষে তাদের সব সিদ্ধান্তই নেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল পার্টি সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
This story is from the November 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 02, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।