- 'মাথার উপরে রয়েছেন কালী' শীর্ষক প্রচ্ছদকাহিনি (২ নভেম্বর ২০২৪) তিনটি প্রবন্ধই লিখেছেন শুভেন্দু মজুমদার, তুহিন মুখোপাধ্যায় এবং দেবাঞ্জন সেনগুপ্ত। দেবাঞ্জন সেনগুপ্তর লেখা ‘মৃত্যুরূপা কালী, আজও’ প্রসঙ্গে সম্পূর্ণ একমত হতে পারলাম না, তাই এই পত্রের অবতারণা। প্রথমত, কালী প্রসঙ্গে এই সময়ে লেখা এই প্রবন্ধের শিরোনামে রীতিমতো রসাভাসের সৃষ্টি হয়েছে। সমকালের প্রেক্ষিতে কালী আজ আর মোটেই ‘মৃত্যুরূপা' নন। বরং আজ তিনি সর্বত্রই ‘মাতৃরূপা’। দ্বিতীয়ত, তিনি তাঁর প্রবন্ধের প্রায় শুরুতেই লিখেছেন, 'বাস্তবিক, সাধক রামপ্রসাদকে মনে রেখেও বলি, আধুনিক ভারতবর্ষে কালী পূজন-ধারার ধারার ভগীরথ শ্রীরামকৃষ্ণ। আশ্চর্য আবেগ-বিহ্বল তাঁর কালী সাধন পর্ব। ভিন্নমত এখানেও।
আসলে শুধু ভারতবর্ষেই নয়, সমগ্র পৃথিবীতেই মাতৃসাধনা এবং তার আদিআধুনিকতা শুরু হয়েছিল রামপ্রসাদের গানেই। বাংলা সাহিত্যের ঐতিহাসিকরা যে যুগ-বিভাজন করেছেন, তাতে ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দে ভারতচন্দ্রের মৃত্যুর বছরটিকেই ধরা হয়ে থাকে মধ্যযুগে অবসান হিসেবে। গুরুত্বপূর্ণ পর্বান্তর, এটি যথার্থ। এ নিয়ে কোনও সন্দেহের অবকাশ আজ আর আমাদের নেই। কিন্তু আমাদের এও মনে রাখতে হবে, এরপরেও আরও ২১টি বছর বেঁচে ছিলেন লোককবি রামপ্রসাদ, যেহেতু তার প্রয়াণ ১৭৮১ খ্রিস্টাব্দে। ১৭৫৭ সালে পলাশীর যুদ্ধকে মনে রেখেই বলা যায়, ১৭৬০ খ্রিস্টাব্দের পরবর্তী বছরগুলি কেবল সাহিত্যের ইতিহাসেই নয়, বিভিন্ন ক্ষেত্রে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। বাংলা কথ্যভাষায় সাহিত্য তথা সঙ্গীত রচনার পথিকৃৎ কিন্তু রামপ্রসাদ। যা প্রকৃত আধুনিকতার সূত্রপাতের আর এক প্রধান অনুষঙ্গ।
সাহিত্যসম্রাট বঙ্কিমচন্দ্র চট্টোপাধ্যায় লিখেছিলেন 'বাংলার দুইজন সাধক আমাদের বড় নিকট।' আরও লিখেছেন, 'রামপ্রসাদ ঈশ্বরকে সাক্ষাৎ মাতৃভাবে দেখিয়া ভক্তিসাধিত করিয়াছিলেন।' এখানে বঙ্কিমকথিত 'সাক্ষাৎ মাতৃভাবে দেখিয়া' ভাবটিই পরবর্তীকালে সরাসরি বাংলা তথা বিশ্বময় প্রভাব বিস্তার করেছিল।
This story is from the November 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the November 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
কবিতার খাতা
দিন শেষ হয়ে যায়। অন্ধকার নেমে আসে আকাশ থেকে। কিন্তু রোজকার মতো ঝলমলিয়ে ওঠে না তাঁর পাড়া। দোকান-বাজার। শব্দ ওঠে জেনারেটরের। বড় বড় আলো পড়ে ধ্বংসস্তূপের ওপর। যেন সেটাই মঞ্চ।
কলের গাড়ি
এক দিন আবিষ্কার হল অগ্ন্যাশয়ে বাসা বেঁধেছে কর্কট ব্যাধি, অন্তিম পর্যায়। পারিবারিক আবহাওয়ায় দ্রুত পরিবর্তন দেখা দিল। রোগশয্যায় শুয়ে সবই টের পায় শান্তিলাল। এক দিন হীরালাল সামনে এসে দাঁড়ায়।
উপেনবাবুর মেয়ে
গোকুলপিঠে খেতে খেতে ছেলেবেলার স্মৃতি জাগিয়ে তোলে, যখন শীতের সকালে মায়ের হাতে বানানো গরম গরম পিঠে ছিল সবচেয়ে বড় সুখ।
ভালবাসার গল্প
বাদামি চুলের এলা কাঁদছিল। কিন্তু অমল যেন দেখতে পাচ্ছিল বাসবকাকার মুখ। দেখতে পাচ্ছিল আবছায়া একটা ঘর। আর তার মধ্যে ছোট্ট একটা পুঁটলির মতো পড়ে আছে ওর অসহায় বাবা।
তিনি নক্ষত্র হতে জানতেন
জাকির হুসেন, তবলার অতুলনীয় জাদুকর, যাঁর স্পর্শে তবলা খুঁজে পেয়েছিল নতুন ভাষা। তাঁর প্রতিভা ও ক্যারিশমা আজও সঙ্গীতজগতে এক আলোকবর্তিকা।
সুখলালের কিস্সা
সন্ধের ভিজিটিং আওয়ারে সুখলাল দেখেছিল, ফিমেল ওয়ার্ডের আঠাশ নম্বর বেডে সাদা কাপড়ে ঢাকা একটা দেহ। মন মানতে চাইছিল না। এখনও বারবার মনে হয়, ফুলমণি বলেছিল, আজ কোথাও যেয়ো না।
১৯৬৪
শৈশবের সেই যাত্রার মধ্যে মধ্যে মিশে ছিল রোমাঞ্চ; গোয়ালন্দে গাদার মাছের কাঁটা গলায় বিঁধে যাওয়ার পর দলা করে মাখা শুকনো ভাত মুখে পুরে গিলে দেওয়ার ভিতর থেকেও আনন্দই জেগে উঠেছিল সেবার।
রক্ষক
আরিয়ানাকে নিয়ে চলে গেছে লুকাস। একা বসে আছে রাফায়েল। ভাবছে, আজ যদি ওর নিজের সন্তান বেঁচে থাকত, তবে তো কুড়ি বছর বয়স হত তার। সে হয়তো কোনও ইউনিভার্সিটিতে আন্ডার গ্র্যাড করত এখন।
ফুলের তোড়া
বাবুই মায়ের দিকে বিষণ্ণ চোখে তাকিয়ে বলল, “মা, তুমি তো রোজ দুটো খবরের কাগজ আদ্যোপান্ত পড়ো। বাবা সারা বিশ্বের খবর রাখে। একটি মেয়ে রাজনীতি করছে, এ কি খুবই বিস্ময়কর?”
সমাজের শিকড়ে
মানুষ যে ভাবে ৯ অগস্টের পর একটা সমাজে সন্নিবিষ্ট হতে পেরেছিল, তার পিছনে ছিল হৃদয়ের জোরালো টান।