স্বাযন্ত্রের সমস্যা বলতে গেলে প্রথমেই আসে অবস্ট্রাকটিভ এয়ারওয়ে ডিজিজ – শ্বাসনালীর সংকোচন জনিত অসুখ, যার দুই প্রধান সদস্য হল অ্যাজমা ও সিওপিডি। অ্যাজমার মূল চরিত্র হল খুঁতখুঁতে শ্বাসনালী। যা কারণে অকারণে দরজা বন্ধ করে বসে থাকে। তুলনায় সিওপিডি অনেক মারাত্মক ব্যাধি— শ্বাসপ্রণালীর ডালপালা ধীরে কিন্তু নিশ্চিতভাবে সংকীর্ণ হয়ে আসে। ধূমপান, বায়ুদূষণ ও জৈব জ্বালানি ব্যবহার সিওপিডির প্রধান কারণ।
এমফাইসিমা শব্দটা এখন অনেকে জানেন। এটা কোনও আলাদা অসুখ নয়, সিওপিডির অঙ্গাঙ্গি সহযোগী। ফুসফুসের ভিতরে প্রত্যন্ত শ্বাসনালীরা শেষ হয় গিয়ে বায়ুকুঠুরিতে— এদের নাম অ্যালভিওলাস। আমরা যখন শ্বাস নিই, বক্ষ প্রসারিত হয়, শ্বাসনালীদের ব্যাসার্ধ বাড়ে— হাওয়া ভেতরে ঢোকে। শ্বাস ছাড়ার জন্য বক্ষ ও ফুসফুসের আয়তন কমিয়ে আনতে হয়বেলুন চিপে হাওয়া বের করে দেওয়ার মতো। এই শ্বাস নেওয়া ও ছাড়ার মধ্যে সম্পন্ন হয় গ্যাস এক্সচেঞ্জ। অক্সিজেন ঢোকে, কার্বন ডাই অক্সাইড বেরিয়ে যায়।
অসুস্থ শ্বাসনালীরা যখন সংকুচিত অবস্থায় থাকে— তা সে অ্যাজমা, সিওপিডি বা যে কারণেই হোক না কেনশ্বাস নেওয়ার সময় প্রসারমান ফুসফুসে কিছুটা অন্তত প্রসার পায়। কিন্তু শ্বাস ছাড়ার সময় অধিক সংকুচিত হয়ে পড়ে। ফলে যে
পরিমাণ হাওয়া ঢোকে, শ্বাস ছাড়ার সময় তার কিছুটা বায়ুকুঠুরির ভেতর ফাঁদে আটকে পড়ে। একে বলে এয়ার ট্র্যাপিং। আর এটাই হল অবস্ট্রাকটিভ এয়ারওয়ে ডিজিজ-এর মারণ পদ্ধতি।
ফল কী দাঁড়াল? প্রত্যেকবার রোগী শ্বাস ছাড়ে, একটু করে উদ্বৃত্ত বায়ু জমা হয় বায়ুকুঠুরিতে, তাদের আয়তন বাড়ে, কর্মক্ষমতা কমে যায়। সংকুচিত শ্বাসনালীদের মধ্যে দিয়ে হাওয়া বের করে দেওয়ার চেষ্টায় রোগী আরও বুকে ও পেটে চাপ দেয়— ফল শ্বাসনালীর আরও সংকোচন, বায়ুকুঠুরির গহ্বরে আরও হাওয়া আটকে পড়া। ভিসাস সাইকল চলতে থাকে। এই অতিকায় অথচ অকেজো বায়ুকুঠুরিকেই বলা হয় এমফাইসিমা।
This story is from the January 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the January 2023 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পুষ্টিগুণে শীতের সেরা ১০ শোক
বাঙালির অন্যতম প্রিয় শাক। ভিটামিন এ, বি, সি থাকেই। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণযুক্ত।
কোন রোগে কী কী শাক বাদ?
শাকের একটি উপকরণ ‘বিষ্টম্ভী’। যা থেকে ‘অ্যাবডোমিনাল ফুলনেস' বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা আসে।
কোন লেবুর কী গুণ?
লিখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুর্বেদ গবেষণা সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডাঃ সুবল কুমার মাইতি
মেদ কমাতে লেবু
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
লেবু কি ক্যান্সার আটকায়?
পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য
ডায়াবেটিসে অম্লফল কেন খাবেন?
পরামর্শে জেবি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ সুপ্রিয় চৌধুরি।
কোন ফল ও সব্জি খাবেন?
বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন রূপাঞ্জনা দত্ত।
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।