ইএনটি সমস্যায় যোগাসন

শ্লেষ্মা ও সর্দিকাশির সমস্যা অনেকটা কমে যায় যদি নাক-কান ও গলার যত্ন নেন। শ্বাসকষ্ট রুখে সুস্থ থাকার হদিশও রয়েছে শরীরের এই তিন অঙ্গে। কীভাবে সুস্থ রাখবেন এদের? পরামর্শে যোগবিশেষজ্ঞ উজ্জ্বলকুমার ঘোষ

কান, নাক ও গলা। এই তিন ক নিয়েই ইএনটি-এর পরিসর। | সহজ কিছু যোগব্যায়ামে এই তিন অংশের নানা জটিল রোগকে আয়ত্তে আনা যায়। যোগাসনের প্রধান কাজ শরীর ও মনকে স্ট্রেসমুক্ত রাখা। কিছু যোগাসন প্রতিদিন অভ্যেস করলে তা শুধু রোগকে ভালো করে তা-ই নয়, মনকেও সুস্থ রাখে।

কানের অসুখে ব্যায়াম কানের কাজ শুধু শ্রবণে অংশ নেওয়াই নয়, শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করাও এর অন্যতম কাজ। কানের যত্নে তাই কিছু স্থিতি ব্যায়াম অভ্যেস করতে হবে।

বৃক্ষাসন: এই আসনের ভঙ্গিকে দেখতে বৃক্ষের মতো হয় বলে এই আসনের এমন নাম। শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধিতে বিশেষ কার্যকরী এই আসন।

পদ্ধতি: সোজা হয়ে দাঁড়িয়ে নিজের দু’টি হাত নমস্কারের ভঙ্গিতে বুকের কাছে আনুন। এবার শরীরের ভারসাম্য রেখে ডান পায়ের হাঁটু ভাঁজ করে ডান পায়ের পাতাটি বাঁ পায়ের ঊরুর উপর আনুন। মেরুদণ্ড সোজা রেখে নিজের হাত নমস্কার ভঙ্গিতে কনুই টানটান করে মাথার উপর নিয়ে যান। এই অবস্থায় শ্বাস-প্রশ্বাস স্বাভাবিক রাখুন। ৩০ সেকেন্ড এই ভঙ্গিতে এক পায়ে ভর দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকুন। ধীরে ধীরে স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসুন ও পা বদল করে পুনরায় করুন। এতে একটি সেট শেষ হয়। প্রতিদিন ৩-৪টি সেট অভ্যেস করুন।

তাড়াসন: রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে ও শরীরের ভারসাম্য রক্ষা করতে এই আসন অভ্যেস করা খুব জরুরি। পদ্ধতি: প্রথমে সোজা হয়ে দাঁড়ান। দু’পায়ের পাতার মাঝে কিছুটা ফাঁক রাখুন। হাত দু’টি উপরে তুলে কাঁধের দু'পাশে সমানভাবে ছড়িয়ে দিন। হাতের তালু রাখুন বাইরের দিকে। এবার শ্বাস নিতে মাথার উপর হাত দু’টি নিয়ে যান। একটি হাতের তালুর উপর অন্যটি রাখুন। পায়ের পাতার উপর শরীরের ভারসাম্য রেখে পায়ের গোড়ালি মাটি থেকে উপরে তুলুন। এই অবস্থায় ৩-১০ বার শ্বাস নিন। এবার ধীরে ধীরে গোড়ালি মাটি স্পর্শ করান। শ্বাস ছেড়ে আগের অবস্থায় ফিরে আসুন। কেবল ব্যায়ামই নয়, কানের নানা রোগ ঠেকাতে কিছু প্রাণায়ামে ভরসা রাখুন। নাড়িশোধন প্রাণায়াম: এই প্রাণায়ামে শ্বাসকষ্টের সমস্যা কমে, শরীরে বিশুদ্ধ বায়ু চলাচল বাড়ে। কান দিয়ে ঠান্ডা হাওয়া ঢুকে ঠান্ডা লাগতে পারে। সেক্ষেত্রেও এই প্রাণায়াম বিশেষ কাজে আসে।