পম্পার প্রত্যয় !

পম্পা গুহ ডাক্তার হতে চাইতেন। হওয়া হয়নি। তবে এখন রোগীর সেবা করেন মন প্রাণ থেকে। বর্তমানে তাঁর একটাই ইচ্ছা। দৃষ্টির আর স্পর্শের প্রান্ত থেকে অনেক যোজন দূরত্বে থাকা মেয়ে যেন পাইলট হয়! ছুঁয়ে ফেলে আকাশ! পম্পার জীবনের গল্প শুনলেন স্বরলিপি ভট্টাচার্য।

• ব্যারাকপুর রামকৃষ্ণ বিবেকানন্দ সারদাকন্যা বিদ্যাপীঠের ছাত্রী। উচ্চমাধ্যমিক দেওয়ার পর সোদপুর থেকে নার্সিং ট্রেনিং নিয়ে কাজের সূত্রে মুম্বই পাড়ি। সেখানেই বিয়ে। স্যান্তাক্রুজে সংসার শুরু। কন্যা সন্তানের জন্ম। তারপর? ‘তারপর আমি মানসিক রোগী হয়ে পড়ি’ বললেন পম্পা গুহ। 'প্রত্যয় মনের মতো ঘর'-এর ঠিকানায় পম্পার সঙ্গে আলাপের মুহূর্তে কিন্তু মনে হয়নি মানসিক সমস্যা পেরিয়ে জীবনের লড়াইতে ফেরা পম্পা যেন ছাই চাপা আগুন। যত আলাপ এগল, তত যেন নিজেকে প্রমাণ করলেন বছর চল্লিশের এই নারী।

পম্পার জন্ম উত্তর দিনাজপুরে। মা, বাবা, ভাইয়ের সংসার যে স্বচ্ছল ছিল, তা নয়। পরে সপরিবার ব্যারাকপুরে থাকতে শুরু করেন পম্পার অভিভাবকরা। তবে সমস্যা সামলেও দুই সন্তানকে লেখাপড়া শিখিয়েছেন তাঁরা। পড়াশোনা, চাকরি, বিয়ে, সন্তান— অন্য রকম হতে পারত পম্পার জীবন। কিন্তু বেঁচে থাকা যে সরলরৈখিক নয়, তা এ মেয়ে বুঝেছিলেন অনেক আগেই।