গুন্টার ব্লোবেল

এক নাছোড়বান্দা গবেষকের বিস্ময়কর জীবনের কথা লিখেছেন বিভাস মজুমদার।

- বিভাস মজুমদার।

কোষ সম্পর্কে আমাদের ধারণা বহু বছর ধরেই অজ্ঞাত | ছিল। ১৬৬৫ সালে রবার্ট হুক কোষ আবিষ্কারের পর থেকে এ নিয়ে গবেষণা হয়েছে বটে, তবে এ ব্যাপারে বিশেষ অগ্রগতি হয়নি। উন্নতমানের মাইক্রোস্কোপ না থাকাই মূলত এর কারণ ছিল। পরবর্তীকালে জানা যায় হুক যে কোষটি আবিষ্কার করেছিলেন সেটি ছিল। মৃত কোষ। পরবর্তীকালে মাইক্রোস্কোপের উন্নতির সঙ্গে সঙ্গে কোষ সম্পর্কে আরও বিস্তারিত তথ্য জানা যায়। উদ্ভিদ এবং সব প্রাণীদেহেই কোষ রয়েছে তা আবিষ্কৃত হয়। কিন্তু কোষের আবিষ্কার হওয়ার ৩০০ বছর পরে লাইট মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে কোষ সম্পর্কে সব জীববিজ্ঞানীরা জানতে পারেন, সেটি প্লাজমা মেমব্রেন দিয়ে ঘেরা এবং এর মধ্যে একটি নিউক্লিয়াস রয়েছে। আরও গবেষণার পর কোষের সাইটোপ্লাজম এবং নিউক্লিয়াসও অন্য পদার্থের প্রাচীরে ঘেরা, তা জানা যায়। কিন্তু কোষের সূক্ষ্ম গঠন সম্পর্কে বিজ্ঞানীদের কিছু জানা ছিল না।

১৯৪৫ সালে কোষ নিয়ে গবেষণায় নাটকীয় পরিবর্তন আসে। সেই সময় নিউইয়র্কের চিকিৎসা বিষয়ক গবেষণাকেন্দ্র রকফেলার ইনস্টিটিউটে নতুন ধরনের ইলেকট্রন মাইক্রোস্কোপ ব্যবহার শুরু হয়। ওই মাইক্রোস্কোপের সাহায্যে তিন বায়োলজিস্ট বেলজিয়ামের অ্যালবার্ট ক্লাউড এবং কানাডার কেথ পর্টার এবং আনেস্ট ফুললাম কোষের সাইটোপ্লাজমে ফিতের মতো একটা অংশ দেখতে পান।

তাঁরা এটাকে ‘এন্ডোপ্লাজমিক ফেটিকুলাম' বলে অভিহিত করেন। কোষের গঠন সম্পর্কে আরও বিস্তারিত জানা সম্ভব হয়। তাঁদের এই আবিষ্কার নোবেলজয়ী জার্মান বায়োলজিস্ট গুন্টার গ্লোবেলের কোষ গবেষণার ভিত গড়ে দিয়েছিল।