কি -ডনি রোগ এবং ব্লাড প্রেশারের কথা উঠলেই প্রথমেই মাথায় আসে সেই আদিম তুলনার কথা— মুরগি আগে নাকি ডিম আগে! কারণ, কিডনির রোগ এবং উচ্চ রক্তচাপের সমস্যা একে অপরের সঙ্গে সংযুক্ত। জানা গিয়েছে, যাঁরা দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায় ভোগেন, তাঁদের সঠিকভাবে চিকিৎসা না করালে কিডনির সমস্যা হওয়ার আশঙ্কা থেকে যায়।
আবার উল্টোটাও সঠিক। যে কারও যদি কিডনি ডিজিজ থাকে তাহলে বাড়তে পারে ব্লাড প্রেশার। সেইজন্য এই সমস্যাকে দুষ্ট চক্র বলে। অর্থাৎ একটা সমস্যা বাড়লে অন্য সমস্যা মাথাচাড়া দেয়।
ব্লাড প্রেশার থাকলে দুই ধরনের কিডনির অসুখ হতে পারে। একটিকে বলে বিনাইন নেফ্রোস্ক্লেরোসিস, অপরটি হল ম্যালিগনেন্ট নেফ্রেস্ক্লেরোসিস যার ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশনের সঙ্গে সম্পর্ক রয়েছে।
বিনাইন নেফ্রোস্ক্লেরোসিস অনেকেরই দীর্ঘদিন ধরে মাঝারি গোত্রের ব্লাডপ্রেশার থাকে। তবে এই মাঝারি গোত্রের প্রেশারও কিডনির নেফ্রনের ফাইব্রোসিস ঘটাতে পারে। তবে এই অসুখের অগ্রগতি হয় ধীরে ধীরে। তবে ব্লাড প্রেশার কন্ট্রোলে রাখতে পারলে কিডনির অসুখের অগ্রগতিও মন্থর হয়ে যায়।
ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশন ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশনের অর্থ হল, রক্তচাপ একেবারেই কন্ট্রোলে নেই। রোগীর ডায়াস্টোলিক বা নীচের প্রেশারই হয়তো রয়েছে ১২০-১৩০! এক্ষেত্রে কিডনিতে খুব চাপ পড়ে। কিডনির নেফ্রনগুলিতে যে রক্তবাহী নালীগুলি আছে, সেগুলি নষ্ট হতে থাকে। দ্রুত কিডনি খারাপ হতে থাকে। ম্যালিগনেন্ট হাইপারটেনশন নিঃসন্দেহে মেডিক্যাল ইমার্জেন্সি।
এক্ষেত্রে দরকার পড়লে রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে ভর্তি করে হাই ব্লাড প্রেশারকে স্বাভাবিক অবস্থায় নিয়ে আসতে হবে। ব্লাড প্রেশার স্বাভাবিক অবস্থায় এলে আনা গেলে দেখা যাবে, কিডনিও ধীরে ধীরে আগের অবস্থায় ফিরে যাচ্ছে। ম্যালিগনেন্ট নেফ্রোস্ক্লেরোসিস বা হাইপারটেনশন দ্রুত কন্ট্রোলে না এলে খুব তাড়াতাড়ি কিডনি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে। মোট কথা এই হল দুই ধরনের হাইপ্রেশার যার থেকে কিডনি খারাপ হওয়ার আশঙ্কা থাকে।
This story is from the December 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the December 2024 edition of Sarir O Sasthya.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পুষ্টিগুণে শীতের সেরা ১০ শোক
বাঙালির অন্যতম প্রিয় শাক। ভিটামিন এ, বি, সি থাকেই। পাশাপাশি অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট গুণযুক্ত।
কোন রোগে কী কী শাক বাদ?
শাকের একটি উপকরণ ‘বিষ্টম্ভী’। যা থেকে ‘অ্যাবডোমিনাল ফুলনেস' বা পেট ফাঁপার মতো সমস্যা আসে।
কোন লেবুর কী গুণ?
লিখেছেন কেন্দ্রীয় সরকারের আয়ুর্বেদ গবেষণা সংস্থার অবসরপ্রাপ্ত চিকিৎসা বিজ্ঞানী অধ্যাপক ডাঃ সুবল কুমার মাইতি
মেদ কমাতে লেবু
পরামর্শে ইনস্টিটিউট অব পোস্ট গ্রাজুয়েট আয়ুর্বেদিক এডুকেশন অ্যান্ড রিসার্চের প্রাক্তন অধ্যাপক ডাঃ প্রদ্যোৎ বিকাশ কর মহাপাত্র
ফল রস করে খাবেন নাকি চিবিয়ে খাবেন?
পরামর্শে আর এন টেগোর হাসপাতালের ডায়েটেশিয়ান সঞ্চিতা শীল
রূপচর্চায় লেবু!
পরামর্শে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের সিনিয়র আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল অফিসার ডাঃ সত্য স্মরণ অধিকারী ও রূপবিশেষজ্ঞ কেয়া শেঠ
লেবু কি ক্যান্সার আটকায়?
পরামর্শে আয়ুর্বেদিক চিকিৎসক ডাঃ লোপামুদ্রা ভট্টাচার্য
ডায়াবেটিসে অম্লফল কেন খাবেন?
পরামর্শে জেবি রায় স্টেট আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের অধ্যক্ষ ডাঃ সুপ্রিয় চৌধুরি।
কোন ফল ও সব্জি খাবেন?
বিশিষ্ট ডায়েটিশিয়ানদের সঙ্গে আলাপচারিতা এবং ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা থেকে লিখেছেন রূপাঞ্জনা দত্ত।
শুচিবায়ুগ্রস্ত স্ত্রী ও অসহায় এক স্বামীর গল্প
হঠাৎ বিপদে বাড়ির পাশে ডাক্তার পান ক’জন! কিছু ক্ষেত্রে প্রতিটা সেকেন্ড হতে পারে জীবনদায়ী, মূল্যবান। ডাক্তারখানা বা হাসপাতালে যাওয়ার আগে চটজলদি কী করবেন ? পরামর্শে ডাঃ শুভেন্দু বাগ।