" আমাদের পরিবারের যে মন্দির- হ্যাঁ, সাতক্ষীরার ঈশ্বরীপুরের কথা বলছি। বিরাট ত্রিকোণাকৃতি গ্রাম, ওখানে একটা নিয়ম ছিল । ওই গ্রামে কোনো প্রতিমা নির্মাণ হতো না। দেবী কালী ছাড়া অন্যান্য পূজায় ঘট স্থাপন করা হতো। প্রতিমাকে কল্পনা করে একটা ঘট, তাতে মাঙ্গলিক চিহ্ন আঁকা। তার ওপরে আম্রপল্লব দিয়ে একটা প্রতীকী পূজা হতো। কিন্তু উৎসব হতো একই । সবচেয়ে মজার ব্যাপার, আমরা প্রতিমা দেখতে যেতাম পাশের গ্রামে। পাশেই নকিপুর জমিদারবাড়িতে বড় পুজো হতো। বিসর্জনের দিন সেখান থেকে শত শত ভক্ত নাচতে নাচতে আসত। বিসর্জনের এই শোভাযাত্রায় সামনের সারিতে থাকত সঙযাত্রার সঙরা। নানা রকমের পোশাক পরে নানা ঢঙের মেকআপ নিয়ে তারা নাচতে নাচতে সামনে যেত; তারপর থাকত ছোটরা। এই ছোটদের মধ্যে হিন্দু-মুসলমান সবাই থাকত। তারপরে থাকত প্রতিমা। কোনো গাড়িতে নয়, লম্বা বাঁশের মাচা করে ২০-২৫ জন মিলে কাঁধে বয়ে নিয়ে যাওয়া হতো প্রতিমা। তারপরে বড়রা। সবশেষে যেত বাজনদারেরা । সাধারণত ঢোল সামনে এবং ব্যান্ড পার্টি পেছনে থাকত । ব্যান্ডের মধ্যে থাকত ক্ল্যারিওনেট, ড্রামস, কর্নেট ইত্যাদি। থাকত না কোনো পুলিশ কিংবা চৌকিদার। তিন মাইলের মতো পথ পাড়ি দিয়ে এই বিশাল শোভাযাত্রা আসত ইছামতী নদীর পাড়ে আজিমদ্দি ঘাটে (এই ঘাটের নামকরণ যার নামে, সেই আজিমদ্দি ভাই দীর্ঘকাল ধরে ওই নদীর ধারে একটি ঘরে একাই বসবাস করতেন)। এরপর বিসর্জন।
বিসর্জন শেষে শিক্ষিত গৃহস্থ লোকেরা কলাপাতার উল্টো দিকে ১০৮ বার দুর্গা নাম লিখতেন খাগের কলম দিয়ে। ছনসদৃশ এই কলমে কালি থাকত না; লিখতে হতো পাতার ওপর আঁচড় দিয়ে। বাড়ি ফিরে সবাই অবশ্যই গুরুজনকে প্রণাম এবং সমবয়সীকে আলিঙ্গন করে ফলাহার ও মিষ্টিমুখ করত। মুসলমান বন্ধুদের বাড়িতে গেলে তারা অবশ্য ফল দিত না; তবে মিষ্টান্ন না খেয়ে ফিরে আসা যেত না ।
This story is from the Canvas oct 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the Canvas oct 2024 edition of Canvas.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
ডিভোর্স জুয়েলারি: রূপান্তরকারী শক্তি
গয়না ব্যবসায়ীদের জন্য সম্ভাবনার নতুন দ্বার খুলে দিয়েছে ট্রেন্ডটি । বদলে যাচ্ছে বিচ্ছেদের সুর
প্রকৃতিতে প্রাপ্তি
এতে চুলের ঝরে পড়া রোধ করা যেতে পারে। আবার সুন্দর চুলের জন্য নারকেল তেলের সঙ্গে মেথি, কারিপাতা, নিমপাতা, আমলকী ইত্যাদির মিশ্রণও উপকারী।
নোনাজল নিমগ্ন
সে জন্য রোজ সমুদ্রে ছুটে যেতে হচ্ছে না; বরং চারদেয়ালের মাঝেই হতে পারে আয়োজন। লবণের গুণে দেহ আর মন- দুই-ই হবে প্ৰশান্ত
ক্রমান্বয় কষে
কখন, কীভাবে এবং কোনটার পর কোনটা- এই তিনের উত্তরে লুকিয়ে আছে পরিচর্যার প্রকৃত পদ্ধতি। জানা আছে তো?
কনের কসমিক নেইল
পত্রিকার ‘আজকের রাশি’ বিভাগে যারা চোখ রাখেন সকাল সকাল, তাদের জন্য। সেই রাশি-রহস্য যদি তুলে আনা যায় কনের নখে, কেমন হবে?
বরের প্রস্তুতি
গ্রুম'স গ্রুমিং নিয়ে এখন আর রাখঢাক নেই; বরং যত্নহীনতাতেই বিস্ময়। দেশের মেনস গ্রুমিং স্যালনগুলো ঘুরে বিস্তারিত ফুয়াদ রূহানী খানের বয়ানে
আড়ং আর্থ-এর অ্যালোভেরা সুদিং জেল ও কফি স্ক্রাব
ত্বকযত্নে দারুণ কার্যকর দুটি পণ্য নিয়ে এসেছে আড়ং আর্থ। একটি অ্যালোভেরা সুদিং জেল, অপরটি কফি স্ক্রাব। প্রথমটির ব্যবহার ত্বক মসৃণ করে, ত্বকে আর্দ্রতা জোগায় এবং নমনীয়তা বাড়ায়। দ্বিতীয়টি ত্বকের মৃত কোষ দূর এবং অকালবার্ধক্য রোধ করে।
ক্যারি-অন অ্যাপ্রুভড
পরিবহন নিরাপত্তা প্রশাসনের নির্দেশিকা মেনে। নচেৎ সামান্য বিউটি প্রোডাক্টই ফেলতে পারে বিব্রতকর পরিস্থিতিতে
ঢাকাই বিয়ের খাবারের বিবর্তন
কাচ্চি, না সাদা পোলাও? জর্দা, না ফিরনি? বিয়ের অনুষ্ঠানের মেনু নিয়ে তর্ক চলতেই থাকে। তবে কেমন ছিল ঢাকার বিয়ের খাবার। একটু ইতিহাসের পাতা থেকে কিংবা বলা ভালো গুরুজনদের স্মৃতি হাতড়িয়ে লিখেছেন আল মারুফ রাসেল
আহারে হাড়ের যতন
হাড় মানবদেহের অতি গুরুত্বপূর্ণ অংশ । অন্যান্য কারণের পাশাপাশি খাদ্যাভ্যাসের গোলমালও বারোটা বাজাতে পারে হাড়ের। সঠিক ডায়েটের পরামর্শ রইল পুষ্টিবিদ নিশাত শারমিন নিশির কাছ থেকে