হ্যা এক্সপ্রেসের বাস যখন মান্দালয়ে আমাদের হোটেলের সামনে নামিয়ে দিল, তখন রাত সাড়ে দশটা। আসার পথে বাসের চাকায় গোলযোগ হওয়ায় তা মেরামত করতে একটু দেরি হল। একটু আগেই বাসের পরিচালক ভাঙাভাঙা ইংরেজিতে জানতে চেয়েছিলেন আমাদের হোটেলের নাম, ঠিকানা। মোবাইল ফোনে হোটেলে জানিয়ে দিলেন আমাদের পৌঁছতে দেরি হবে। তারপর হোটেলের সামনে রিসেপশনের লোকের হাতে মালপত্র সমেত আমাদের কার্যত সঁপে দিয়ে বাস নিয়ে চলে গেলেন গন্তব্যের দিকে। এমন আতিথেয়তা আশা করিনি। বাস তার রুট পরিবর্তন করে বিদেশি পর্যটকদের হোটেলে পৌঁছে দিয়ে আসছে, এমন অভিজ্ঞতা আগে কখনও হয়নি। লো
হোটেলের তিন তলায় আমাদের জন্য নির্দিষ্ট ঘরটি বেশ বড়। এক দিকের টেবিলে চা, কফি বানানোর ইলেক্ট্রিক কেটলি আর পর্যাপ্ত দুধ, চিনির স্যাশে, কফির প্যাকেট, টি ব্যাগ, পাশের ছোট ঝুড়িতে টফি, ছোট কয়েক প্যাকেট বিস্কুট। মনে পড়ল ডিনারের কথাটা আগে থেকে জানিয়ে রাখলে হত। রাত হয়েছে, দোকানপাট সবই বন্ধ।
জানুয়ারি মাস। কিন্তু সেই তুলনায় এখানে বেশ গরম। ভালো করে মুখ-হাত ধুয়ে, পোশাক বদলে বসতে না বসতে খিদে পেল ভালোই। ইলেক্ট্রিক কেটলিতে জল গরম করে সঙ্গে আনা নুডলস আর ইনস্ট্যান্ট উপমার প্যাকেট খুলে চটজলদি কিছু খাদ্যবস্তু তৈরি করে ফেললাম।
মোবাইলের অ্যালার্মে ঘুম ভাঙল খুব ভোরে। সূর্য উঠতে তখনও প্রায় ঘণ্টাখানেক বাকি। বড় বড় বাড়ি, হোটেল, পরিচ্ছন্ন ফুটপাত, সবই এখন নিঃঝুম। রাস্তায় গাড়িঘোড়ার আনাগোনাও তেমন শুরু হয়নি। এই সময় আবহাওয়া বেশ মনোরম।
This story is from the September - October 2022 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September - October 2022 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।