“লকাতা থেকে দিল্লি ট্রেনে, তারপর সেখান থেকে দেরাদুন, পৌঁছতে পৌঁছতে বেশ রাত হল। পরদিন প্রাতরাশ 어 সেরে আমরা যখন মুসৌরি যাওয়ার জন্য বাসস্ট্যান্ডে পৌঁছলাম তখন বাসের জন্য লম্বা লাইন। পাশে ট্যাক্সিস্ট্যান্ডে যেতে শেয়ারে একটা গাড়ি জুটে গেল। মাথাপিছু সাড়ে তিনশো ভাড়া। চার জন সওয়ারি, আমরা দুজন আর এক সদ্য বিবাহিত দম্পতি। গল্প করতে করতে দেড় ঘণ্টায় পৌঁছে গেলাম মুসৌরির পিকচার প্যালেস স্ট্যান্ড। আমাদের গন্তব্য মুসৌরি থেকে দশ কিলোমিটার দূরে ছোট্ট গ্রাম, কাফলানি।
পিকচার প্যালেস স্ট্যান্ড থেকে আবার একটা গাড়ি ভাড়া করলাম, আটশো টাকায় পৌঁছে দিল কাফলানিতে, আগামী চার দিনের জন্য এয়ার বি এন বি-র মাধ্যমে বুক করা আস্তানায়। আমরা ছাড়া আর দু’-চারজনকে চোখে পড়ল, যাঁরা সে গ্রামের অতিথি। দুজন আমাদের পাশের কটেজেই ছিলেন, বেঙ্গালুরু নিবাসী। ঘরে বসে কাজ করার রেওয়াজ এখন অনেক অফিসে। তাঁরাও ক’দিনের জন্য পাহাড়ে ঘর নিয়েছেন। সকাল-বিকেল দেখতাম তাঁরা কাজ করছেন, আবার কখনও খোলা আকাশের নীচে দাঁড়িয়ে দু'দণ্ড শান্তি উপভোগ করছেন। বর্ষার পর পাহাড় জুড়ে সবুজ, শুধু মাঝে মাঝে দু’-চারটে গাছে হেমন্তের ছোঁয়া লেগেছে।
আমাদের ঘরের এক কোনায় ছোট একটা ডেস্ক আর টেবিল ল্যাম্প। এছাড়া পরিপাটি বিছানা, সোফা, খাওয়ার টেবিল। ঘরের বাইরে একটা মস্ত উইলো গাছ। বাড়ির মালিক অমায়িক মানুষ, নাম রোনান। তাঁর স্ত্রী বরখা খুবই মিশুকে। ফোন করলে খাবার পৌঁছে দিয়ে যায় এক পাহাড়ি দিদি ও তাঁর বাচ্চা ছেলেমেয়েরা। এখানে এসে নিরালায় একা হাঁটার সুযোগ
This story is from the June 2023 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 2023 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।