গো মতী নদীর উত্তর তীরে উত্তর প্রদেশের ছোট্ট শহর জৌনপুর এক সময় তুঘলকদের অধীনস্থ ছিল। তারপর ১৩৯৪ থেকে ১৪৭৯ পর্যন্ত তা ছিল শার্কী সুলতানদের অধীনে স্বাধীন রাজ্য। পরবর্তী কালে লোদি ও তারও পর মুঘলরা জৌনপুরের দখল নেয়। এখন জৌনপুর এক ঘিঞ্জি শহর। তবুও মধ্যযুগীয় দুর্গ, সেতু এবং প্রায় আধ ডজন মসজিদ মনে করিয়ে দেয় এই শহরের শতাব্দী-প্রাচীন ইতিহাসকে। এখানে প্রায় প্রতিটি মসজিদের সামনে সুউচ্চ প্রবেশদ্বার, ফারসিতে যাকে বলে পিস্তাক। জৌনপুর বাদ দিলে আমাদের দেশে পিস্তাকযুক্ত মসজিদ নেই বললেই চলে। জৌনপুরের ৬৯ কিলোমিটারের মধ্যে বারাণসী ও ১০০ কিলোমিটারের মধ্যে এলাহাবাদ বা প্রয়াগরাজ। এই দুই জায়গা থেকেই দিনে দিনে ঘুরে নেওয়া যায় জৌনপুর। উল্লেখনীয় বিষয় হল, জৌনপুর পৌঁছতে পার হতে হবে তিনটি নদী-সেতু। এর মধ্যে একটির বয়স প্রায় পাঁচশো বছর! স্তম্ভ ও খিলানযুক্ত সেতুটি সম্রাট আকবরের রাজত্বকালে নির্মিত। গোমতী নদীর মধ্যে একটি দ্বীপ সেতুটিকে দু'ভাগে ভাগ করেছে। দু'টি ভাগের সংযোগস্থলে আছে হাতির উপর সিংহমূর্তি। বহু প্রাচীন এই মূর্তির ইতিহাস জানা যায় না। সম্ভবত এটি জৌনপুরের প্রাক-ইসলামিক স্থাপত্যের নিদর্শন। পরবর্তী কালে এটিকে এখানে স্থানান্তরিত করা হয়। সেতুর উপর ২৮টি ছত্রী আজ জামাকাপড়, সানগ্লাস, সবজি, ফলের দোকানে পরিণত হয়েছে। জৌনপুরের মূল আকর্ষণ গোমতী নদীর
This story is from the May 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the May 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।