ঠিক সকাল সাতটায় হরিদ্বার থেকে গঙ্গোত্রীগামী বাসের চাকা গড়াল। মা সমস্বরে যাত্রীরা চেঁচিয়ে উঠলেন, ‘হর হর গঙ্গে'। জেলা সদর উত্তরকাশীতে পৌঁছে পঁয়তাল্লিশ মিনিটের মধ্যাহ্নভোজনের বিরতি। তারপর আবার চলা শুরু। গঙ্গনানি, হরশিল পেরিয়ে রাত্রি আটটা নাগাদ গঙ্গোত্রী পৌঁছলাম (উচ্চতা ৩,০৬৫ মিটার)। এত রাতেও গঙ্গোত্রী বাজার বেশ জমজমাট। পুজোর উপচারের দোকান, চাউমিন পিৎজার রেস্তোরাঁ, থাকার হোটেল। আমরা নদীর ওপারে গাড়োয়াল মণ্ডল বিকাশ নিগমের (জিএমভিএন) ট্যুরিস্ট লজ অগ্রিম বুক করে এসেছি। কিন্তু ট্যুরিস্ট লজে মাত্র এক রাত্রির জন্য ঘর পাওয়া গেছে। উচ্চতার সঙ্গে শরীরকে মানিয়ে নিতে আমরা আর-একটা দিন কাটাব গঙ্গোত্রীতে। পরদিন সকালে তাই প্রধান কাজ হল নতুন ঠাঁই খোঁজা। প্রথমে সূর্যকুণ্ড দর্শন সেরে নিই। জিএমভিএন লজ থেকে দু'পা দূরত্বে স্রোতস্বিনী ভাগীরথী, জলপ্রপাত হয়ে আছড়ে পড়ছে। দূরে উঁকি দিচ্ছে সুদর্শন তুষারশৃঙ্গ। পুরাণ অনুযায়ী, সত্য যুগে রাজা ভগীরথের কঠোর তপস্যার ফলে, এই স্থানে স্বর্গ থেকে মর্তে অবতরণ করেন গঙ্গা। হিন্দিতে 'গঙ্গা উতারি' থেকেই সম্ভবত এসেছে গঙ্গোত্রী নামটা।
পরের দ্রষ্টব্য গঙ্গোত্রী মন্দির। নদী পেরিয়ে বাজার হয়ে যাওয়া যায়, তবে আমরা এপারের নিরিবিলি রাস্তা ধরে এগোলাম। ডান হাতে পড়ল তপোবনম হিরণ্যগর্ভ আর্ট গ্যালারি। এখানে কুটির করে থাকতেন স্বামী সুন্দরানন্দ, যাঁর অন্যতম পরিচয় ছিল, ‘ছবি তোলা সাধু’ (দ্য সাধু হু ক্লিকস)। চার দশক ধরে তাঁর তোলা হিমালয়ের অজস্র ফোটোগ্রাফ নিয়ে গড়ে উঠেছে এই পাঁচ তলা সংগ্রহশালা।
This story is from the June 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the June 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
বসন্তে মানাং
নেপালের বেসিশহর থেকে মার্সিয়াংদি নদীর তীর ধরে মানাং ৯৮ কিলোমিটার। এখন ফোর হুইল গাড়িতে পৌঁছনো যায়। যাত্রাপথের আকাশ জুড়ে নামি নামি তুষারশৃঙ্গ আর মার্সিয়াংদির বয়ে চলা নিবিড়ভাবে দেখতে চাইলে মাঝপথে খানিক আনন্দময় পদযাত্রাও করতে পারেন। বসন্তে মানা গেলে ফোটা ফুলের শোভা বাড়তি পাওনা।
কর্ণাবতীর পাড়ে
কর্ণাবতী বা কেন নদী বয়ে গেছে পান্না অরণ্যের মধ্য দিয়ে। ঘন সবুজ বন, নীল নদী, পাথুরে নদীতট, গভীর গিরিখাত, ঝরনা আর অরণ্যের রাজা-প্রজাদের নিয়ে পান্নার জঙ্গলের কোর অঞ্চল খোলা থাকে অক্টোবর থেকে জুন। বাফার অঞ্চলে যাওয়া চলে বছরভর। খাজুরাহো থেকে পান্না ৩০ কিলোমিটার।
পৌষ সংক্রান্তির শিলাই পরব
পুরুলিয়ার হুড়া থানার বড়গ্রামে শিলাই নদীর উৎপত্তি। প্রতি বছর পৌষ সংক্রান্তিতে নদীর উৎসস্থলে বসে টুসু বিসর্জনের মেলা। এবারের শিলাই পরব শুরু হবে ১৪ জানুয়ারি।
জয়পুর হয়ে ভানগড় মনোহরপুর সরিস্কা
রাজস্থানের জয়পুরে ঘোরাঘুরি খাওয়াদাওয়া সেরে ভূতুড়ে দুর্গ ভানগড় দেখে সরিস্কা অরণ্য। ভানগড় থেকে সরিস্কার পথে মনোহরপুরের বাড়োদিয়া গ্রামে এক মনোরম নিশিযাপন।
শিবখোলার তীরে লিঝিপুর
কার্শিয়াং থেকে ১৪ কিলোমিটার দূরে লিঝিপুরে এসে গোটাদিন কাটিয়ে যেতে পারেন। যাঁরা শিবখোলার ধারে লিঝিপুরে একটা রাত কাটাতে চান, তাঁরা নদীর ধারে বসে একবেলা পিকনিকও করতে পারেন।
নাচুনে হরিণের দেশে
চিরকালের শান্তির রাজ্য মণিপুর ঢেকে গেছিল অশান্তির কালো মেঘে। এখন সেই মেঘ কেটে ধীরে ধীরে শান্তির আলো ফিরছে ক্রমশ। তবে সব জায়গা পর্যটকের জন্য উন্মুক্ত হয়নি এখনও। এই অগস্টের ভ্রমণকথা ।
বরাক উপত্যকার বনবাদাড়ে
দক্ষিণ আসামের বরাক উপত্যকার করিমগঞ্জ জেলার দসদেওয়া গ্রাম ও তার আশপাশের জঙ্গলে পাখপাখালির ভরা সংসার। পর্যটনের পরিকাঠামো গ্রামে সেভাবে গড়ে ওঠেনি, তাই পাখি আর প্রকৃতির সৌন্দর্যের টানে যাঁরা আর সব অসুবিধা তুচ্ছ মানেন, শুধু তাঁরাই যাবেন এই আরণ্যক গ্রাম ভ্রমণে।
জামনগর
শীতের জামনগর এক বিস্ময়নগরী। একদিকে রমরমিয়ে চলছে শিল্পতালুকের কর্মকাণ্ড, অন্যদিকে একের পর এক জলাভূমি অতিথি পাখিদের ভিড়ে যেন নন্দনকানন ।
তিন সংস্কৃতি-স্পর্শী স্পেনের টলেডো
সকাল সাতটায় বেরিয়েছি, ভোরের আলো তখনও ফোটেনি। বড়দিনের ছুটিতে আধঘুমে থাকা মাদ্রিদের শুনশান রাস্তা যেন হলিউডের মার্ডার মিস্ট্রি সিনেমার সেট। লাজ-মাদ্রিদ গেস্ট হাউস থেকে বড় রাস্তায় এসে বাসের পিক-আপ পয়েন্ট খুঁজলাম। টলেডো ট্যুরে আমাদের সঙ্গী দিল্লির এক ভারতীয় পরিবার। বাস ছাড়ল মাদ্রিদ থেকে, টলেডোর দিকে। পাহাড়, নদী আর ইতিহাসে মোড়া শহরটিতে পৌঁছে দেখি ইউনেস্কোর স্বীকৃত প্রাচীন নিদর্শন। সংকীর্ণ রাস্তা, সিনাগগ, ক্যাথিড্রাল আর এল গ্রেকোর শিল্পকর্ম—টলেডো যেন ইতিহাসের এক জীবন্ত জাদুঘর।
তাইগা ফ্লাইক্যাচার
তাইগা ফ্লাইক্যাচার (Taiga Flycatcher), বৈজ্ঞানিক নাম Ficedula albicilla, একটি শীতকালীন পরিযায়ী পাখি, যা মূলত ভারতীয় উপমহাদেশের পূর্ব, মধ্য এবং উত্তর-পূর্ব অঞ্চলে দেখা যায়। এরা ঝোপঝাড়, চাষের জমি ও ছোট গাছপালার আশেপাশে বিচরণ করে। পাখিটির গড় দৈর্ঘ্য ১১-১২ সেন্টিমিটার। প্রজননকালে পুরুষ পাখিটির গলার গেরুয়া কমলা রঙ খুব উজ্জ্বল হয়ে ওঠে। স্ত্রী পাখি এবং প্রথম বছরের পুরুষ পাখির রং অপেক্ষাকৃত হালকা। এদের প্রধান খাদ্য পোকামাকড়, যা তারা মাটি, গাছ বা শূন্য থেকে শিকার করে। লেখা ও ছবি: সৌম্যজিৎ বিশ্বাস