সুনীল সমুদ্র, সোনালি সৈকত, উচ্ছল ঝরনা, কুয়াশা ঢাকা সবুজ পাহাড়, গহন • অরণ্য ও বন্যপ্রাণী, লেক আর দিগন্ত ছুঁয়ে থাকা ব্যাকওয়াটার— কেরল যেন প্রকৃতির খেলাঘর! কেরলে ভ্রমণের সেরা সময় নভেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারি। এ সময় দিনে ততটা গরম থাকবে না, রাতে হালকা শীতের আমেজ ভালো লাগবে। তবে, পুজোর ছুটিতেও কেরল ভালো লাগবে। হাতে সাত থেকে আট দিন। তাই সময় বাঁচাতে সকালের দিকের বিমানে পৌঁছে যান কোচি।
কোচি বিমানবন্দরে নেমেই যেটা সবচেয়ে ভালো লাগে, তা হল, বিমানবন্দরের কাঠের কারুশিল্প। সেইসঙ্গে অজস্র ফুল আর সবুজের সমারোহ। উল্লেখ্য, কোচি বিশ্বের প্রথম সৌরশক্তিতে পরিচালিত বিমানবন্দর। অগ্রিম গাড়ি বুক করে যাবেন। গাড়ির চালকই সফরের দিনগুলিতে আপনার গাইড বা পথপ্রদর্শক হয়ে উঠবেন। হাতে সময় থাকলে কোচি থেকে দিনে দিনেই ঘুরে আসতে পারেন ৬৭ কিলোমিটার দূরের আথিরাপল্লি জলপ্রপাত। যেতে সময় লাগে ঘণ্টাদুয়েক।
দিন-১ গন্তব্য মুন্নার। কোচি থেকে দূরত্ব ১২৬ কিলোমিটার। সময় লাগবে চার-সাড়ে চার ঘণ্টা। কোচি বিমানবন্দরে নেমেই চলেছেন মুন্নারে, খিদে তো পাবেই। বেলা গড়িয়ে প্রায় দুপুর। রাস্তায় কোথাও সাবেকি কেরালিয়ান পদ দিয়ে জলযোগ সেরে নিন। এক কালে মুন্নার ছিল দক্ষিণ ভারতে ইংরেজদের গ্রীষ্মকালীন রাজধানী। সমুদ্রতল থেকে উচ্চতা ১,৫৩২ মিটার। কোচি থেকে মুন্নারের রাস্তার সৌন্দর্য অসাধারণ। চলার পথে বেশ কিছু ঝরনা চোখে পড়বে। বর্ষার সময় এদের ভরপুর সৌন্দর্য মুগ্ধ করে। চারদিকে ঘন সবুজ গাছপালার আবরণ, পাহাড়ের গায়ে মাঝেমধ্যে চায়ের বাগান। চলতে চলতেই গাড়ির চালক ও গাইড ছোট ছোট দ্রষ্টব্যগুলোর বেশ তথ্যপূর্ণ বর্ণনা দিয়ে যাবেন। যাওয়ার রাস্তাতেই এক ফাঁকে ‘হোটেল রসা'য় কেরলের নিজস্ব খাবারদাবার দিয়ে মধ্যাহ্নভোজ করুন। রাস্তার পাশে, জঙ্গলের মধ্যে অসাধারণ ফ্যামিলি রেস্তোরাঁ। খাবারের স্বাদও মুখে লেগে থাকে। গাড়ি ঘন সবুজ পাহাড় বেয়ে ধীরে ধীরে উপরের দিকে উঠতে থাকবে। ডিসেম্বর থেকে ফেব্রুয়ারির মধ্যে কোনও সময় গেলে হালকা ঠান্ডার আমেজ টের পাবেন। এবার পথে যে-কোনও একটা চকোলেট ফ্যাক্টরিতে মিনিট দশেকের বিরতি নিন। কেরলের অপূর্ব ফিল্টার কফির স্বাদ নিয়ে যখন মুন্নার পৌঁছবেন, কমলা রঙের সূর্য অস্তাচলগামী।
This story is from the July 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 2024 edition of Bhraman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শাতের মেলা-পার্বণ
গুজরাত পর্যটন বিভাগ প্রতি বছর রণ উৎসব বা হোয়াইট ডেজার্ট ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করে। কচ্ছ জেলার ধরদো গ্রামে এই উৎসব হয়। বিশেষ করে পূর্ণিমার রাতে সাদা মরুভূমির অপরূপ সৌন্দর্য দেখার জন্য পর্যটকের ভিড় বেড়ে যায়। বিলাসবহুল তাঁবুতে থাকার ব্যবস্থা এবং গুজরাতি লোকনৃত্য, লোকসংগীত, চিত্রকলা ও প্রাদেশিক খাবারের সমারোহ এই উৎসবের বিশেষ আকর্ষণ।
শীতের দিনে সপ্তাশেষে
/ গোবর্ধনপুর / গোপালপুর / আদিত্যপুর / পুরুলিয়ার টিকড়টাঁড়ের আড়াল কানালি /কুকি ড্যাম /জাজাহাতু /মাছকান্দা ঝরনা
তুষারচিতার খোঁজে শীতের স্পিতি উপত্যকায়
শীতে খাবারের খোঁজে স্নো-লেপার্ডরা নেমে আসে হিমাচলের স্পিতি উপত্যকায়। বরফজমা উপত্যকায় এ-সময় আরও নানা বন্যপ্রাণীর দেখা মেলে। এবছরের ফেব্রুয়ারি মাসের অভিজ্ঞতা।
শীতে সাত সমুদ্রে
/কারোয়ার / দেববাগ / মাইপাড়ু /কোভালম / ভারকালা / লাক্ষাদ্বীপ / হ্যাভলক
ওরিয়া উৎসবে ওয়াক্কা
শীতের শেষে অরুণাচলের অচিন গ্রাম ওয়াক্কা মেতে ওঠে ওরিয়া উৎসবে। এবারের ওরিয়া উৎসব ১৬ ফেব্রুয়ারি।
শীতের কাজিরাঙা
কাজিরাঙার রোমাঞ্চময় জঙ্গলে মিঠে রোদে ঠান্ডা হাওয়ায় অপরূপ নিসর্গের মাঝে গন্ডার, হুলক গিবন, বাঘ, হাতি, বুনো মহিষ আর অসংখ্য পাখি দেখার আনন্দ পেতে চাইলে যেতে হবে শীতেই। মস্ত বড় এলিফ্যান্ট গ্রাসের আড়ালে হাতিও তখন ঢাকা পড়ে যায়।
শীতের কাশ্মীরে সাধনা টপ
শীতেই চলুন শীতের দেশে। শীতের আনন্দ সেখানেই। শীতের কাশ্মীরে চেনা পথে যদি বরফ না পান, চলে যেতে পারেন অল্পচেনা সাধনা টপে।
শীতের পাখি দেখতে কুমায়ুন থেকে গাড়োয়াল
গাড়োয়াল আর কুমায়ুন পাহাড় এমনিতেই হিমালয়ের পাখিদের স্বর্গরাজ্য। শীতে বেশি উচ্চতার পাখিরাও নেমে আসে সাততাল, মানিলা, মকুমঠ, চোপতা, তুঙ্গনাথে। শীতের পাহাড় পাখি-দেখিয়েদেরও স্বর্গ।
জিঞ্জি দুর্গ দেখে পিছাভরম
জেনে রাখুন পিছাভরমে সংকীর্ণ খাঁড়ির মধ্যে প্রবেশ করতে চাইলে এবং গহীন অরণ্যের স্বাদ নিতে হলে হাতে দাঁড় টানা ছোট নৌকা সবচেয়ে উপযোগী। এটি অনেকটা ভিতরে প্রবেশ করতে পারে। বড় নৌকার ক্ষেত্রে তা সম্ভব নয়। /৪৫ মিনিটের জন্য চারজনের ক্ষেত্রে ছোট দাঁড় টানা নৌকার খরচ ৪০০ টাকা এবং ৮ জনের মোটর বোটে টিকিট মূল্য ৮০০ টাকা। / কাদিয়াম্পালয়াম গ্রাম থেকে প্রাইভেট ফিশিং বোটে নৌসফর করতে চাইলে যোগাযোগ করতে পারেন: আনবো ৯৭৮৬৭-৬7287
জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের গ্রামে গ্রামে
সবুজ চা-বাগানে ঘেরা নিস্তরঙ্গ গ্রাম, ফলে ভরা কমলালেবু বাগান, বৃষ্টি ধোয়া আকাশে হেসে ওঠা কাঞ্চনজঙ্ঘা, ডিসেম্বরের জমাট শীতে উত্তরবঙ্গের ভ্রমণকথা।