কী খেতে ভালবাসেন প্রতিবেশী রাজ্য ত্রিপুরার মানুষজন, তাঁদের রোজকার রান্নাবান্নার ধরন কেমন, সিগনেচার ডিশ কী— আসুন, জেনে নেওয়া যাক।
প্রিয় উপকরণ ত্রিপুরা হল ‘ল্যান্ডলক্ড স্টেট'। তাই সি-ফুডের পরিসর এখানে তুলনায় কম। স্থানীয় ছোট মাছ অবশ্য খেতে খুব ভালবাসেন ত্রিপুরার মানুষজন। টাটকা পর্ক এবং চিকেনের নানা পদ রসিয়ে খান। ত্রিপুরা যেহেতু পাহাড়ি রাজ্য, ওখানে প্রচুর বাঁশ জন্মায়। বাঁশের কোঁড়ল, যাকে আমরা ‘ব্যাম্বু শুট’ বলে জানি, ত্রিপুরাবাসীদের প্রিয় মরসুমি সবজি। বর্ষাকালে প্রচুর পাওয়া যায়। শাক-সবজি ত্রিপুরার কুইজিনের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। সবজি সিদ্ধ করে, খনিজ লবণ দিয়ে খেতে ভালবাসেন তাঁরা। রোজকার রান্নায় তেতো পদ থাকতেই হবে। করলাপাতা দিয়ে মাছের সবজি বা স্রেফ স্টু বানিয়ে খাওয়া হয়। এক ধরনের ছোট্ট জংলি তিতকুটে বেগুন পাওয়া যায়া ত্রিপুরায়। সেটাও তাঁরা পছন্দ করেন।
‘লো-অয়েল' রান্না ত্রিপুরার রান্নায় তেল পড়ে স্বল্প মাত্রায়। তেল ছাড়াও রান্না হয়। ওখানে সাধারণত ‘ফ্যাটি পর্ক' পাওয়া যায়। সেই পর্ক কেটে, নেড়ে নেওয়া হল কড়াইয়ে। তাতে পর্কের ফ্যাট রেন্ডারিং (অর্থাৎ ফ্যাট গলিয়ে, ক্ল্যারিফাই করে নেওয়া, যাতে তা ‘শেল্ফ-স্টেবল’ এবং রান্নার উপযোগী হয়) হয়ে গেল। তার পর প্রয়োজনীয় মশলাপাতি দিয়ে রেঁধে নেওয়া। চালকুমড়ো দিয়ে পর্ক ত্রিপুরার জনপ্রিয় রান্না। কিংবা রসুন আর লঙ্কা থেঁতো করে, তা দিয়ে পর্ক টস করে নিন। কুটে নেওয়া লাললঙ্কা আর অল্প কাঁচা হলুদ দিয়ে টস করতে থাকুন। সুগন্ধ বেরোলে, গরম জল দিয়ে, ঢাকা দিয়ে রান্না করুন। একটু ফুটলে, পেঁয়াজ দিয়ে নাড়াচাড়া করুন। নামানোর সময় সুগন্ধি যেনামপাতা (শাইভ), পেঁয়াজপাতা বা ধনেপাতা ছড়িয়ে দিন। এ ছাড়াও জনপ্রিয় হল 'ওয়াহান মোসাডেং' বা পর্ক স্যালাড। রান্নায় ফ্লেভারিংয়ের জন্য দেওয়া হয় বার্মিজ করিয়্যান্ডার, ককবরক ভাষায় বলে কাচিনমশলা— যাকে আমরা বাঙালিরা বিলিতি ধনে বলি। এই বার্মিজ করিয়্যান্ডার, ফ্রেঞ্চ পার্সলি, শাইভ এবং লেমন বেসিল, সবই ত্রিপুরার রান্নায় ব্যবহৃত হয়। বড় মাছও ভাপিয়ে বা সিদ্ধ করে খেতে ভালবাসেন ওঁরা। ভেজে বা ঝোল করেও খান অবশ্য!
This story is from the September 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the September 30, 2024 edition of SANANDA.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
পুরুষরা রান্না করতে পারেন। কিন্তু অর্থ ও সম্মান উপার্জনের মাধ্যম না হলে পুরুষরা রান্না করতে চান না
অর্থনীতিতে নোবেল পুরস্কার প্রাপক অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়-এর রন্ধনশৈলীর কথা অনেকেই জানেন না। রান্না, সমাজ ও অর্থনীতিকে মিশিয়ে তিনি লিখেছেন নতুন বই ‘ছঁওক’। সাক্ষাৎকারে মধুরিমা সিংহ রায়।
তুলসী লাগে না গণেশ পুজোয়
বাঙালি সাহিত্যের এই গল্পের ধারা বিশদ ও মনোগ্রাহী। এখানে বিভিন্ন চরিত্রের মধ্যে সম্পর্ক, আবেগ ও মানবিকতা খুব সুন্দরভাবে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। গল্পটি কিছুটা নস্টালজিক, কিছুটা রোমান্টিক এবং সামাজিক বাস্তবতার ছোঁয়া রয়েছে। ফুলপিসি, মিষ্টু, ন’কাকা এবং তুলসীর মধ্যকার আলাপচারিতা এবং তাদের ব্যক্তিত্বগুলো গভীর মনস্তাত্ত্বিক বিশ্লেষণের সুযোগ দেয়। গল্পের মূল থিম সম্পর্কের আন্তরিকতা এবং সময়ের স্রোতে সেই সম্পর্কের পরিবর্তন। ন'কাকার চরিত্রটি অতীতের স্মৃতিতে আটকে থাকা একজন মানুষের প্রতীক, যেখানে ফুলপিসির আন্তরিকতা এবং তুলসীর দাপট আলাদা দুই প্রজন্মের দুই নারীর ব্যক্তিত্ব তুলে ধরে। আপনি যদি এই গল্পটির নির্দিষ্ট অংশের অনুবাদ বা বিশ্লেষণ চান, দয়া করে জানান। বাংলার সাহিত্য পাঠকদের কাছে এটি উপভোগ্য হবে।
বর্ষশেষের মিষ্টিমুখ
বছর শেষের উত্তেজনায় বাড়তি আনন্দ যোগ করে নানা রকম মিষ্টি পদ। তাই এই শীতের মরসুমে লোভনীয় কেক, পেস্ট্রি ও ডিজার্টের সন্ধান দিলেন হোমশেফ ও বেকার আদৃতা চৌধুরী।
নারী, প্রতিবাদ ও মুক্তির জয়গান
প্রতিবাদের গনগনে আঁচে রাতের আঁধারেও ঝলসে উঠেছিল মুক্তির জয়রথ। সংগ্রামী সত্তা, নারী স্বাধীনতা ও এক স্তিমিত জাতির রেনেসাঁ। কলম ধরলেন অলকানন্দা রায়।
লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই
শিক্ষা এবং কাজের জগতে নারী আগল ভেঙে বেরিয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কি করায়ত্ত হয়েছে তার? প্রশ্ন তুললেন লেখক, অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক কর্মী পৃথা কুণ্ডু।
লক্ষ্মীর ঝাঁপি থাকুক শ্রীময়ীদের হাতেই
শিক্ষা এবং কাজের জগতে নারী আগল ভেঙে বেরিয়েছে। কিন্তু অর্থনৈতিক স্বাধীনতা কি করায়ত্ত হয়েছে তার? প্রশ্ন তুললেন লেখক, অধ্যাপক ও সাংস্কৃতিক কর্মী পৃথা কুণ্ডু।
পেটিকোট ক্যানসার: কতটা আশঙ্কার
কিছু সাম্প্রতিক ঘটনার প্রেক্ষিতে খবরে এসেছে ‘পেটিকোট ক্যানসার'। খুব একটা কমন না হলেও সতর্ক থাকতে বলছেন ডাক্তাররা। জানাচ্ছেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট, মেডিক্যাল অঙ্কোলজি ডা. সন্দীপ গঙ্গোপাধ্যায়। লিখছেন মধুরিমা সিংহ রায়
কনটেন্টের মহাসাগরে ‘মস্তিষ্কের পচন’!
‘ব্রেন রট’ শব্দটি জিতে নিয়েছে অক্সফোর্ড ওয়ার্ড অব দ্য ইয়ার-এর খেতাব। জনপ্রিয়তার আড়ালে আসলে এ কোন অশনি সঙ্কেত? জানালেন মনোবিদ অন্বেষা ভট্টাচার্য ও ডেভেলপমেন্টাল সাইকোলজিস্ট মীনাক্ষি খুরানা সাহা। লিখছেন উপমা মুখোপাধ্যায়।
প্রসঙ্গ: ডাউন'স সিনড্রোম
ডাউন'স সিনড্রোম নির্ণয়ের উপায় ও বাচ্চাদের সম্ভাব্য সমস্যার কথা বললেন সিনিয়র কনসালট্যান্ট পিডিয়াট্রিশিয়ান ডা.শমীক ঘোষ। দিলেন পাশে থাকার দিশাও। শুনলেন সংবেত্তা চক্রবর্তী।
ক্ষমতার রাজনীতি ও নারী
নারীকে দেখতে হবে একক সত্তা হিসেবে। সে শাসিত নয়, তার উল্টোদিকে থাকা মানুষটিও শাসক নয়। নারী-পুরুষের সম্পর্ক ও নারীকে নিয়ন্ত্রণের সামাজিক মনস্তত্ত্ব নিয়ে জানালেন মনোসমাজকর্মী রত্নাবলী রায়। নারী ক্ষমতায়নের রাজনীতি নিয়ে মতামত দিলেন অধ্যাপক ও সমাজকর্মী শাশ্বতী ঘোষ। লিখছেন জয়শ্রী রায়।