দারুণ উপায় ফেস যোগা

‘খাতায় কলমে বয়স বাড়ে বাড়ুক, মনটাকে তরুণ রাখা চাই। আর সেই তারুণ্যের ছাপ যেন পড়ে মুখে চোখে।’ বয়সের ছাপ এড়ানোর প্রসঙ্গে এমন কথাই বললেন রূপবিশেষজ্ঞ বন্দনা লুথরা। কথা বলে লিখেছেন কমলিনী চক্রবর্তী।

ক “থায় বলে মুখ হল মনের আয়না। আপনার মনে যদি ফুরফুরে ভাব থাকে, মুখও সঙ্গ দেবে ছন্দ মেনে। আর তার সঙ্গে যদি একটু-আধটু মৌখিক সক্রিয়তা অর্থাৎ শুধুমাত্র মুখের মেদ বা বলিরেখা কমাতে বিশেষ ব্যায়াম রপ্ত করে নেন, তাহলেই কেল্লাফতে। বন্দনা লুথরা বললেন, ‘আমি রূপবিশেষজ্ঞ। তাই মুখে বয়সের ছাপটাই আমার চোখে সবার আগে ধরা পড়ে। আর সেই ছাপ রুখে দেওয়ার উপায়গুলোও তখনই ভাবতে শুরু করি। কয়েকটা মাত্র সহজ পদ্ধতি। ব্যস, চোখেমুখে তারুণ্য ধরে রাখতে আর কী চাই?’ তাঁর কাছে জানতে চেয়েছিলাম সেই সহজ পদ্ধতিগুলোর কথা। বন্দনা বিস্তারিতভাবেই সব জানালেন আপনাদের জন্য।

• তারুণ্যের জন্য চাই সুঠাম ত্বক: চামড়া ঝুলে পড়ে বলেই বয়স্ক লাগে। ত্বকে কুঞ্চন ধরলে তা-ই বয়স বেড়ে যাওয়ার বার্তা নিয়ে হাজির হয় আমাদের সামনে। অতএব প্রথমেই মুখের ত্বকে এই কুঞ্চন আটকে দিতে হবে। কপাল, গাল, চিবুক আর গলা যদি সুঠাম টানটান থাকে তাহলে বয়সও কম লাগবে। তার জন্য চাই এমন কিছু আসন যা মুখের চামড়ায় কুঞ্চন রোধ করে।

• চিক লিফট: অর্থাৎ গাল দুটো উপর দিকে তুলে ধরা। তার জন্য প্রথমে ঠোঁট দু’খানা চেপে বন্ধ করে দিন। তারপর মুখের মাসলের সঞ্চালনের দ্বারা গাল দুটোকে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করুন। দু’হাতেরও সাহায্য নিন, কিন্তু গালের মাসলগুলোও যাতে নাড়াচাড়া হয় সেদিকেও খেয়াল রাখবেন। গালদুটো উপর দিকে তোলার সময় ঠোঁটের কোণ দুটোও একইভাবে উপরের দিকে তোলার চেষ্টা করবেন। হাসলে যেমন ঠোঁটটা উপর দিকে ওঠে তেমনই ওঠাবেন। এতে গালের চামড়া টানটান হয় এবং তাতে কুঞ্চন ধরে না। তাছাড়াও এই এক্সারসাইজের মাধ্যমে মুখে একটা হাসির রেখা আঁকা হয়। আর সেই হাসিমুখ আমাদের মানসিক অবসাদ কাটাতে সাহায্য করে। আর মনে সুখ থাকলে তা মুখেও সহজেই ধরা পড়ে। ফলে হাসতে হাসতে গাল দুটোকে উপর দিকে টেনে তুলে ধরে রাখুন, মুখের চামড়া টানটান থাকবে। এক এক বারে অন্তত দশ সেকেন্ড এই আসনটা অভ্যাস করুন। 14 সখী গৃহকোণ ২০১৩