নাইসাকে নিয়েই তখন আমার দুনিয়া ছিল

‘জীবন দীর্ঘ নয়, সুন্দর হওয়া চাই’— ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবিতে এটাই বলতে চেয়েছেন কাজল। বড় পর্দায় সদ্য মুক্তি পেয়েছে ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবিটি। রেবতী পরিচালিত এই ছবিতে কাজল আর বিশাল জেঠওয়া মূল চরিত্রে আছেন। এক সাক্ষাৎকারে বলিউড অভিনেত্রী কাজল জানালেন বাস্তব থেকে পর্দার মা হওয়ার নানান কথা।

• প্রথমে ছবিটি প্রত্যাখ্যান করেছিলেন। পরে রাজি হওয়ার কারণ কী ছিল? আমি রেবতীর ‘ফির মিলেঙ্গে’ ছবিটা দেখেছি। ছবিটা আমার দারুণ লেগেছিল। আর তখনই ভেবেছিলাম রেবতীর সঙ্গে একবার কাজ করতেই হবে। রেবতী প্রথমে ‘সালাম ভেঙ্কি’ ছবির গল্প বলতেই আমি নাকচ করে দিয়েছিলাম। কারণ আমার যদি কোনও শত্রু-ও থাকে, কল্পনা করতে পারব না যে তার বাচ্চা মারা যেতে চলেছে। আমি নিজে মা, তাই একজন মায়ের যন্ত্রণা অনুভব করতে পারি। রেবতী সম্পূর্ণ চিত্রনাট্য শোনানোর পর মনে হয়েছিল আমার ছবিটি করা উচিত। এতে ‘সুজাতা’ চরিত্রটি আমার অন্তরকে ছুঁয়ে ছিল। এখন এই ছবির একজন হতে পেরে দারুণ খুশি হয়েছি।

‘সুজাতা’ চরিত্রটি আপনাকে কতটা প্রভাবিত করেছে? ‘সুজাতা’ এক বাস্তব চরিত্র। সুজাতার সঙ্গে আমার যখন দেখা হয়, তখন তাঁর সরলতা দারুণভাবে প্রভাবিত করেছিল। উনি অত্যন্ত কঠিন মনের মহিলা। অনেক সময় দেখেছি সাধারণ মানুষ অনেক বেশি নির্ভীক হন। আর এটাই সুজাতার বিশেষত্ব। উনি জীবনে যা দেখেছেন, যা করেছেন খুব কম মানুষই তা করতে পারেন। আমার জন্য সুজাতার চরিত্রে অভিনয় করা অত্যন্ত চ্যালেঞ্জিং ছিল।

• প্রথম মা হওয়ার পর জীবন কতটা বদলে গিয়েছিল? নাইসা জীবনে আসার পর আমার অবস্থা প্রায় পাগলের মতো হয়ে গিয়েছিল। নাইসাকে নিয়েই তখন আমার