চাকার হারানোর ভয় কাটানো যায়

আমাদের মঠ-মিশনের সাধুরা সাধারণ অফিসের কর্মীর মতো নানা কাজ করেন।

- স্বামী গুরুদাসানন্দ

মানুষ তো ভয় নিয়েই বসত করে। এই মায়া-প্রপঞ্চে স্বয়ং ব্রহ্মা-বিষ্ণু-মহেশ্বর পর্যন্ত হাবুডুবু খান, জীব কোন ছার! জীব যখন গর্ভে তখন যোগে থাকে। যেই পঞ্চভূতে প্রবেশ করে অমনি চিৎকার করে ওঠে, ‘বেশ ছিলুম, কেন যে এলুম!’ এই গল্প ভগবান শ্রীরামকৃষ্ণের। ভয় যে কত রকমের আছে! আর এই সংসার জগতে কে আর ভয়মুক্ত আছে! একথা বলা চলে সংসারাশ্রমীদের ক্ষেত্রে। যাদের সংসার পালন করতে হয়। সংসারে পিতা-মাতা-স্ত্রী-পুত্র, আত্মীয় স্বজনের সঙ্গে মানিয়ে নিয়ে চলা। নানা কর্তব্য, দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে হিমশিম খেতে হয় তাঁদের। মনে রাখতে হবে এই সময়টা, যে সময়ের মধ্যে দিয়ে চলেছি সেটি খুব সংকটময়। মানুষ সামাজিক, অর্থনৈতিক, শরীর-স্বাস্থ্য কোনও

বিষয়েই আর সুস্থির নেই। এর ফলে নানা বয়সের মানুষ সংশয়, নিরাশায় ভুগছেন। কারণ তাঁদের অনেক কিছুই নেই। এই ‘নেই’ ব্যাপারটি খুব শক্তিশালী। মজার ব্যাপার হল কিছু একটা ‘আছে’-এর জন্যই ‘নেই’এর এত গুরুত্ব। ‘আছে’-টা হল বাসনা। ‘নেই’ হল বাসনা পূরণ না হওয়ার আক্ষেপ। ভয় যদি অসুখ হয় তাহলে এটিই হল মূল অসুখের সূত্রপাত। মধ্যবিত্ত এই অসুখের শিকার। মধ্যবিত্তই স্বপ্ন দেখে। ভালোমন্দ না বুঝেই স্বপ্নের পাখা মেলে দেয়। যদি আটঘাট বেঁধে ওড়া যায় তাহলে ঝুঁকি কিছু কম। কিন্তু বাসনার হাতছানিতে উড়তে গিয়েই পতন! ভয়ের অনেক বিষয়ের মধ্যে ঠিক আজকের দিনে মানুষের ভয় হল কর্ম হারানোর ভয়। বিগত কয়েক বছরের দুঃসহ পরিবেশ-পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে বিভীষিকাপূর্ণ যেসব