আজকাল সমাজের ব্যাপক অবক্ষয়ের মাঝে দাঁড়িয়েও | সমস্ত অভিভাবকই চান— সন্তান যেন সঠিক পথে চলতে পারে। মানুষের মতো মানুষ হয়ে সুখে-দুঃখে বিচলিত না হয়ে বেঁচে থাকে। এখান থেকেই জীবনযাত্রার পরিক্রমার শুরু। কিন্তু শিশু যদি পারিপার্শ্বিক অবস্থার চাপে, অভিভাবকের আকাশচুম্বী আশাআকাঙ্ক্ষার জন্য সঠিকভাবে বিকশিত হতে না পারে, তাহলে আগামী প্রজন্মের অবস্থা কী হতে পারে, সেটা এই প্রজন্মের মানুষকে বুঝতে হবে।
আজকের আলোচনাটি শিশু থেকে বৃদ্ধ পর্যন্ত একটা লম্বা দৌড় হলে কী হবে, সকলকেই এ ব্যাপারে সতর্ক হতে হবে। তবেই সুস্থ ও দীর্ঘ জীবনের স্বপ্ন সার্থক হবে। আমরা বিভিন্ন পেশায় যুক্ত থাকলেও আমাদের স্বভাব-চরিত্র নানা রঙে বিভক্ত হয়ে গিয়েছে। জন্মসূত্রে পাওয়া সহজাত প্রবৃত্তি এবং পরে বুদ্ধিজাত প্রবৃত্তি সহাবস্থানের ফলে আমাদের চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য পৃথক-পৃথক হয়েছে। আর সন্তানের জন্মের পর থেকে বাবামাকে অনুসরণ করতে করতে তারাও কিছুটা রঙিন হয়ে থাকে। সবাই চান তাঁর সন্তান শিক্ষিত হয়ে যেন ভালো উপার্জন করতে পারে। ক'জন বাপ-মা সন্তানকে উদারচেতা, সুশিক্ষিত, বিনয়ী, ভদ্র, পরোপকারী, পরিশ্রমী করার জন্য সচেষ্ট হন?
আমাদের মন দোদুল্যমান অবস্থায় দুলতে দুলতে সত্যি কী চায়, তা বুঝতে পারে না। জীবন ফুরিয়ে আসে, ছেলেমেয়ে বড় হয়ে সব রকমেরই পথে পা বাড়ায়। তখন প্রতিরোধের রাস্তা বন্ধ হয়ে যায়। এভাবেই জগৎ এগিয়ে যাচ্ছে। অতএব অধিকাংশ মানুষ সহজেই লোভী অহংকারী হয়ে ওঠে। যৎসামান্য কিছু লোকে সমাজের দিকে তাকিয়ে, পরবর্তী প্রজন্মের কথা ভেবে দিন-রাত্রির ভাবনাচিন্তাকে কাজে লাগাবার চেষ্টা করেন। আর প্রতি পদে পদে ঠোক্কর খেতে থাকেন। তবু তাঁরা একরোখা হয়ে কাজ করে যান। সেজন্যই বুঝি বিশ্বটা অকালে শেষ হয়ে যায়নি। কিন্তু আমরা শঠতার জন্য, লোভের জন্য, অন্যকে দমিয়ে রাখার জন্য, একে-অপরকে হত্যার জাল বোনার মানসিকতার জন্য তৈরি করে ফেলেছি নিজেদের। অতএব পৃথিবীকে ধ্বংসের হাত থেকে আমরা মাত্র কয়েকজন যেমন বাঁচাতে পারি কিংবা মেরে ফেলতেও পারি। প্রকৃতির হালহকিকত দেখলেই তো বুঝতে পারবেন। যুদ্ধ লেগেই আছে বিশ্বব্যাপী। এই মানসিকতার মধ্যে শিশুরা, কিশোর-কিশোরীরা, যুবক-যুবতীরা না পারছি এগতে, না পারছি পিছু হঠতে।
This story is from the 9 November 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the 9 November 2024 edition of Saptahik Bartaman.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
শিশু সাহিত্য ও সুকুমার রায়
প্রয়াণ শতবর্ষে সুকুমার রায় | সম্পাদনা: জয়দেব মাইতি ৷ কবিতিকা (খেজুরি, পূর্ব মেদিনীপুর-৭২১৪৩২) ৷৷ ৩০০ টাকা। • অনির্বাণ রক্ষিত
অসম্ভবের জগতে হেমেন্দ্রকুমার
অ্যাডভেঞ্চার সংগ্রহ ৷৷ হেমেন্দ্রকুমার রায় ৷ দে'জ পাবলিশিং ৷৷ ৮০০ টাকা। নিজস্ব প্রতিনিধি
বিভিন্ন রোগে আয়ুর্বেদ চিকিৎসা
আয়ুর্বেদশাস্ত্রে বলা হয়েছে, “শরীরং ব্যাধি মন্দিরম”। শরীর আমাদের রোগের আশ্রয়স্থল, তাই রোগ প্রতিরোধে আয়ুর্বেদের গুরুত্ব অপরিসীম। শীতকাল দরজায় কড়া নাড়ছে, আর এই সময় শুষ্ক ত্বক, খুশকি, ঠান্ডাজনিত সমস্যা, এমনকি মানসিক অবসাদও বাড়তে পারে। ঋতু পরিবর্তনের সময় খাওয়া-দাওয়া, জীবনযাত্রা, এবং আয়ুর্বেদিক পন্থার সঠিক প্রয়োগ শরীরকে সুস্থ রাখতে সহায়ক। ত্বকের যত্নে সর্ষের তেল মালিশ, ঠান্ডার প্রতিরোধে আদা-গোলমরিচের চা, এবং হাড়ের স্বাস্থ্যের জন্য ভিটামিন ডি ও ক্যালশিয়াম সমৃদ্ধ খাবার খাওয়া উপকারী। আয়ুর্বেদের সহজ পন্থায় সুস্থ জীবন যাপন করুন এবং শীতে নিজেকে সুরক্ষিত রাখুন!
প্রাচীন মিশরের নারীদের কথা
প্রাচীন মিশরে নারী ও পুরুষের মধ্যে সমান অধিকার ও স্বাধীনতা ছিল। নারীরা আইনের চোখে দক্ষ ও সক্ষম হিসেবে বিবেচিত হতেন এবং সম্পত্তি কেনাবেচা, ব্যবসা পরিচালনা, এবং আইনি চুক্তিতে অংশগ্রহণের অধিকার ভোগ করতেন। ফারাওদের মধ্যে অনেক নারীর শাসনকাল ইতিহাসে উজ্জ্বল উদাহরণ। মিশরীয় নারীরা চিকিৎসক, পুরোহিত, বয়নশিল্পী থেকে শুরু করে উচ্চপদস্থ সরকারি কর্মচারী হিসেবে নিজেদের প্রতিষ্ঠা করতেন। এই অধিকার ও মর্যাদা মিশরীয় সমাজে মায়ের ভূমিকাকে আরও গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছিল। বিশ্ব সভ্যতার ইতিহাসে নারীর এমন শক্তিশালী অবস্থান বিরল।
পাথর কাব্যের দেশ খাজুরাহ
খাজুরাহ মন্দির, মধ্য ভারতের স্থাপত্যকলার এক অতুলনীয় নিদর্শন। চান্দেল রাজাদের শিল্প-সমৃদ্ধ ঐতিহ্যের প্রতীক এই মন্দিরগুলো ৯৫০ থেকে ১০৫০ খ্রিস্টাব্দে নির্মিত। বিশ্ববিখ্যাত এই মন্দিরগুলোর দেওয়ালে দেবদেবীর মূর্তি, অপ্সরা এবং মানবজীবনের নানা দিক সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে। খাজুরাহর মন্দিরগুলো পশ্চিম, পূর্ব ও দক্ষিণ— এই তিনটি ভাগে বিভক্ত। কামশিল্প ও তন্ত্রচর্চার নিদর্শন হিসেবে পশ্চিম প্রান্তের মন্দিরগুলো বিশেষ পরিচিত। ১৯৮৬ সালে ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইটের স্বীকৃতি লাভ করা এই মন্দির আজও পর্যটকদের মুগ্ধ করে।
কিয়োটা থেকে বাকু কেউ কথা রাখেনি!
বিশ্ব তাপমাত্রা বৃদ্ধি ১.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে সীমাবদ্ধ রাখার চূড়ান্ত কাউন্টডাউন চলছে। কিন্তু আজারবাইজানের বাকুতে অনুষ্ঠিত কপ ২৯ সম্মেলনে, জীবাশ্ম জ্বালানির ওপর নির্ভরশীলতার মতো বৈপরীত্য জলবায়ু সংকটের সমাধান নিয়ে বড় প্রশ্ন তুলেছে। তেল ও গ্যাসের উৎপাদনে জোর দেওয়া এবং বিশ্বনেতাদের অনুপস্থিতি পরিস্থিতিকে আরও জটিল করেছে। পরিবেশকর্মীদের দাবি, ভবিষ্যত বাঁচাতে বছরে ৫ ট্রিলিয়ন ডলার বিনিয়োগ ছাড়া বিকল্প নেই। তবে, পরিবর্তনের পথে এখনও সংশয় এবং হতাশা কাটেনি। পৃথিবীর জন্য কি সত্যিই সময় ফুরিয়ে আসছে?
ফেরা
মঞ্জুলার ফিরে যেতে যেতে অমলেন্দুর জীবন যায়। শহরের বাসতা ছেড়ে অমলেন্দু মঞ্জুলার সঙ্গে থাকার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। পাঞ্চা, মঞ্জুলার স্বামী, এবং গ্রামবাসীরা খুঁজে বের করার জন্য এই অপ্রত্যাশিত বন্ধুর কথা বলে। প্রাকৃতিক পরিবেশ এবং সরল জীবনযাত্রা অমলেন্দু নতুন করে বাঁচার মধ্যে খুঁজে পান। এই গল্পটি মানুষে মানুষে সম্পর্ক, দায়বদ্ধতা এবং নতুন শুরু শক্তি এক মর্মস্পর্শী উদাহরণ।
বিখ্যাত দুই অসম বিবাহ
১৮৮৩ সালে কাদম্বিনী বসু ও দ্বারকানাথ গঙ্গোপাধ্যায়ের বিবাহ একটি ঐতিহাসিক ঘটনা ছিল। এটি কেবল একটি প্রেমের গল্প নয়, বরং নারী শিক্ষা ও স্বাধীনতার আন্দোলনের অংশও ছিল। কাদম্বিনী, প্রথম মহিলা গ্র্যাজুয়েট এবং চিকিৎসক, তাঁর স্বামীর সংগ্রামের মাধ্যমে সামাজিক পরিবর্তনের পথ প্রশস্ত করেন।
বাংলার ছেলে ভুলানো ছড়া
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের প্রেরণায় ছড়া সাহিত্য বাংলায় একটি অমূল্য ধন। 'খোকা ঘুমাল' ছড়াটি ১৭৪০ সালের বর্গি আক্রমণকালের এক ঐতিহাসিক প্রতিচ্ছবি, যা সারা বাংলাদেশে একাধিক রূপে প্রচলিত। এই ছড়াটি সংস্কৃতির এক অপরিহার্য অংশ হিসেবে নানা প্রজন্মে বাচ্চাদের মুখে মুখে বহমান।
আইপিএল নিলামে ইতিহাস ঋষভের
২০২২ সালের ৩০ ডিসেম্বর এক ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনার পর ঋষভ পন্থের জীবনে শুরু হয় নতুন লড়াই। জীবন-মৃত্যুর দ্বন্দ্ব পেরিয়ে ১২ মাসের মধ্যেই তিনি ক্রিকেটে ফিরে আসেন। এবার ২০২৫ আইপিএলের নিলামে ২৭ কোটি টাকায় লখনউ সুপার জায়ান্টসে যোগ দিয়ে নতুন ইতিহাস গড়লেন তিনি।