* অনিতা অগ্নিহোত্রীর লেখা 'এক অনাবিষ্কৃত মহাদেশ” এবং মাসউদ আহমাদের লেখা ‘চিরনতুন, আধুনিক’ নিবন্ধ (প্রচ্ছদকাহিনি, ২ জুলাই ২০২৪) দু'টিতে কবি জীবনানন্দ দাশের সাহিত্য কর্ম সম্পর্কে বিস্তৃত আলোচনা রয়েছে। জীবনানন্দ দাশ নির্জন, একাকী এবং কিছুটা কুয়াশা ঘেরা জীবনযাপন করেছেন। শোনা যায়, রাস্তায় হঠাৎ কোনও পরিচিত মানুষ দেখলে, তিনি মুখোমুখি হতে চাইতেন না, নীরবে সরে যাওয়ার চেষ্টা করতেন। তাই ব্যক্তি জীবনানন্দকে বুঝতে চাইলে আমাদের পৌঁছোতে হবে তাঁর রচনার কাছে। বুদ্ধদেব বসু বলেছিলেন, ““ধূসর পাণ্ডুলিপি' পর্যায় থেকে তাঁর মৃত্যুকাল পর্যন্ত, তাঁর কবি জীবনের সঙ্গে যুক্ত ছিলাম আমি। কিন্তু তাঁর সঙ্গে কোনও ব্যক্তিগত সম্পর্ক স্থাপন করতে পারিনি।
অন্য কেউ পেরেছিলেন বলেও জানি না।” প্রকৃতির পাশাপশি জীবনানন্দর লেখায় মূর্ত হয়েছে বিপন্ন মানবতার ছবি এবং আধুনিক নগর জীবনের অবক্ষয়, হতাশা, নিঃসঙ্গতা ও সংশয়বোধ। অসংখ্য কবিতা ও গল্প লিখে ট্রাঙ্কে তুলে রেখে দিয়েছিলেন। মৃত্যুর পর সে-সব উদ্ধার করার পর, প্রকাশিত হয়েছে প্রচুর কবিতা ও গল্পের বই। মুগ্ধ হয়েছে বাঙালি পাঠকগণ। অর্থনৈতিক অস্বাচ্ছন্দ্য ও পরিচিতজনদের অহেতুক সমালোচনা, ব্যক্তিগত জীবনে তাঁকে থিতু হতে দেয়নি কখনও। জীবনানন্দ বলতেন, “কত বই পৃথিবীতে, ভাল বই পেলে আর কিচ্ছুর, কারুকে দরকার হয় না।” তাঁর এই কথা আজও আমাদের মতো সাধারণ পাঠকের কাছে সমান ভাবে প্রাসঙ্গিক। রবীন রায়, শ্যামনগর-৭৪৩১২৭
This story is from the July 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber ? Sign In
This story is from the July 17, 2024 edition of Desh.
Start your 7-day Magzter GOLD free trial to access thousands of curated premium stories, and 9,000+ magazines and newspapers.
Already a subscriber? Sign In
চিকিৎসক আন্দোলন, কোন পথে? নিঃসন্দেহে, তৃণমূল কংগ্রেস ক্ষমতায় আসার পর সরকারবিরোধী এই মাপের আন্দোলন কখনও দেখেনি।
জুনিয়র চিকিৎসকদের অনশন ধর্মঘট উঠে যাওয়ায় মধ্যবিত্ত বাঙালি স্বস্তি পেয়েছে। আন্দোলনের ইতিবাচক দিক যেমন আছে, তেমনই শাসকের প্রতিক্রিয়া নিয়ে নানা বিতর্কও রয়েছে। এই প্রতিবাদ শাসককে নাড়া দিলেও আন্দোলনের ভবিষ্যৎ নিয়ে অনিশ্চয়তা রয়ে গেছে।
ভারতীয় দার্য্যের প্রতীক
ফোর্ড মোটর কোম্পানি ১৯০৮ সালে ‘মডেল টি’ গাড়ি চালু করে, যা জনসাধারণের জন্য সহজ ও সাশ্রয়ী হয়ে ওঠে। ১০০ বছর পর, ২০০৮ সালে রতন টাটা ‘ন্যানো’ গাড়ি নিয়ে বিশ্বমঞ্চে ওঠেন, যাকে বলা হয়েছিল ‘পিপলস কার’। টাটার নেতৃত্বে টাটা গ্রুপ বিশ্ববাজারে বিশাল অধিগ্রহণ করে, যেমন জাগুয়ার-ল্যান্ড রোভার, এবং গড়ে তোলে এক শক্তিশালী আন্তর্জাতিক উপস্থিতি।
মৃত্যুরূপা কালী, আজও
শ্রীরামকৃষ্ণ তাঁর কালীসাধনায় এক নতুন দৃষ্টিভঙ্গি উপস্থাপন করেন, যা যুক্তিবোধ ও ভক্তির সমন্বয় করে। তাঁর গভীর আবেগে জীবনপণ করে কালীসাধনা কেবল আধ্যাত্মিক নয়, সামাজিক বিপ্লবেরও প্রতীক হয়ে ওঠে। স্বামী বিবেকানন্দ সেই বার্তা শক্তি ও সংগ্রামের পূজার রূপে প্রসারিত করেন।
দেশের খোঁজ
স্মৃতি, সত্তা, ভবিষ্যৎ একটা মাটির মণ্ডের মতো অর্বাচীন অবয়ব নিয়ে তার তাত্ত্বিক পরিণতিকে জব্দ করে চলে নিয়ত।
যারা শুনতে পেয়েছিল
রবি প্রতি রাতে দেওয়ালের ফিসফিস আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়াল তাকে গল্প শোনায়, পুরনো স্মৃতি আর লুকোনো রহস্যের কথা বলে। একদিন রবির দেওয়ালের কথার সত্যতা প্রমাণ হলে তার জীবন বদলে যায়।
নিঃসঙ্গ
ওখানেও দু'কামরার ঘর তুলে দিয়েছি।” লোকটার গলায় দীর্ঘশ্বাস। একটু চুপ করে থেকে লোকটা বলল, “চলি স্যর, নমস্কার।” লোকটা চলে গেল। একদম একা, নিঃসঙ্গ।
আনন্দময় অনন্তের উপলব্ধি
দু'টি পর্বে বিন্যস্ত অনুষ্ঠানটিতে রবীন্দ্র গান ও কবিতা পরস্পরের জন্য সযত্নে চালচিত্র নির্মাণ করে।
স্মৃতিমেদুরতা ও গূঢ় জীবনদর্শন সংস্কৃতির দু'টি নাট্য। একটিতে মনস্তাত্ত্বিক জটিলতার ভাষ্য, অন্যটিতে পুরুষতন্ত্রের সূক্ষ্ম অসুখ।
স্বাধীনতা-উত্তর ভারতে অজিতেশ বন্দ্যোপাধ্যায় বিদেশি নাটক আত্মস্থ করে বাংলার মঞ্চে নতুন প্রযোজনার পথ খুঁজেছিলেন। পিরানদেল্লো থেকে ব্রেশটের নাটকের বঙ্গীকরণে তিনি সমকালীন বাংলা থিয়েটারকে এক অনন্য উচ্চতায় পৌঁছে দেন। দেবেশ চট্টোপাধ্যায় তাঁর পুনর্নির্মাণে আধুনিকতার সংযোজন করে বাংলা নাটকের ঐতিহ্য ও নতুনত্বকে মেলাতে চেষ্টা করেন।
তুষারচিতার ডেরায়
স্পিতি থেকে লাদাখ যাওয়ার রাস্তায় শেষ গ্রাম কিব্বের। তুষারচিতার ওম আর পর্যটন ব্যবসার সোনার কাঠির ছোঁয়ায় তা আড়মোড়া ভেঙে জাগছে।
চন্দননগরের বিপ্লবী সুবাস
আলোচ্য গ্রন্থে চন্দননগর মহাফেজখানার বহু মূল্যবান তথ্যাদি অনেক ক্ষেত্রেই এই প্রথমবার ব্যবহার করা হয়েছে।