CATEGORIES
Categories
অরুণাচল বেড়িয়ে কাজিরাঙা
উত্তর-পূর্ব ভারত অপার বৈচিত্রে ভরা। কলকাতার দিক থেকে ট্রেনে বা উড়ানে গুয়াহাটিতে পৌঁছে দু'টি রাত থাকুন। পরবর্তী গন্তব্য পশ্চিম অরুণাচলের প্রবেশদ্বার ভালুকপং। এক রাত ভালুকপং, দু'রাত বমডিলা, তিন রাত তাওয়াং শহরে কাটিয়ে ফেরার পথে দিরাং শহরে কাটবে একটি রাত। পরদিন আসামের তেজপুর শহর ঘুরে সোজা কাজিরাঙা যাত্রা। দু'রাত্রি কাজিরাঙায় না থাকলেই নয়। তারপর ফের গুয়াহাটি পৌঁছে শেষ হবে এই সফর।
চেনা-অচেনা-অল্পচেনা সিকিম ভ্রমণ
‘সুখিম’ থেকে সিকিম, অর্থ সদাসুখের দেশ। বরফ-পাহাড়, অর্কিড, পাহাড়ের কোলে ছোট্ট ছোট্ট গ্রাম, হিমেল বাতাসের আবহে মোড়া সদা সুখের রাজ্য সিকিম। এখানে সিকিমের বেশ কিছু অল্প পরিচিত, অপরিচিত জায়গার খোঁজখবর দেওয়া হল। এই সব জায়গার গ্রামীণ সৌন্দর্য, অমলিন প্রকৃতি মুগ্ধ করবে। তবে, এই সব জায়গায় পর্যটকের থাকার ব্যবস্থা-বন্দোবস্ত সীমিত। ফলে আগাম খবর দিয়ে, খোঁজখবর নিয়ে এই সব নিরালা, অচিন গ্রামের পথে পা বাড়াবেন।
উত্তরবঙ্গের ছয় গ্রাম
দুর্গাপুজোর ধুমধাম বা দার্জিলিং-কালিম্পংয়ের ভিড়ভাট্টা যাঁদের অপছন্দ, তাঁদের জন্য হিমালয়ের বিজনে ছ'টি নিভৃতবাসের সন্ধান। এই নিরালা গ্রামগুলির কোথাও আকাশজুড়ে সপার্ষদ কাঞ্চনজঙ্ঘা, কোথাও ঢেউখেলানো চা-বাগান, গাছে গাছে পাখি-প্রজাপতির ওড়াউড়ি আর হাসিমুখের অতিথিপরায়ণ মানুষজন তো আছেই।
সাত-আট দিনে উজবেকিস্তান
উজবেকিস্তান মধ্য এশিয়ার একটি অত্যন্ত সুন্দর দেশ। উজবেকিস্তানের প্রধান শহরগুলো সবই খুব প্রাচীন এবং রোমাঞ্চকর রেশমপথের উপর অবস্থিত। এই প্রতিবেদনটি তিনটি মুখ্য শহরকে কেন্দ্র করে লেখা। খিভা, বুখারা ও সমরকন্দ। তিনটি শহরই ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজের তকমা পেয়েছে অনেক আগেই। রাজধানী তাসকেন্দ আপনি এড়িয়ে যেতে পারবেন না। তাই এটিও আপনার যাত্রাপথে থাকবে।
মালয়েশিয়ার নানা দিকে
এবার পুজোর ছুটিতে মালয়েশিয়া ঘুরে আসতে পারেন। কলকাতা থেকে চার ঘণ্টায় পৌঁছে যাবেন কুয়ালালামপুর আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এয়ার এশিয়া, ইন্দোনেশীয় বাটিক এয়ারের বিমান সরাসরি চার ঘণ্টায় কলকাতা থেকে কুয়ালালামপুর পৌঁছে দেয়। দুটি উড়ানই রাত বারোটা নাগাদ কলকাতা ছেড়ে স্থানীয় সময় সকাল সাতটা নাগাদ কুয়ালালামপুর পৌঁছয়। এছাড়া আরও অনেকগুলি ফ্লাইট একটু ঘুরপথে নিয়মিত যাতায়াত করে।
ভিয়েতনামের শহরে বাজারে
ভ্রমণ শুরু হোক হ্যানয় থেকে। দু'-তিন দিন কাটানো যেতে পারে হ্যানয়ে। এখান থেকে দিনে দিনে ঘুরে আসা যায় হালং বে। আরও দিন-তিনেক সময় যোগ করে যাওয়া যেতে পারে উত্তর ভিয়েতনামের সুন্দর জনপদ সাপা আর তার আশপাশের ছোট-ছোট গ্রাম, জনপদ আর অসাধারণ প্রাকৃতিক দৃশ্যের সান্নিধ্যে।
ইউরোপের দুটি দেশে
অস্ট্রিয়ার ভিয়েনা থেকে হলস্ট্যাট হয়ে সালসবুর্গ। সেখান থেকে ঘুরে আসুন চেক রিপাবলিকের রাজধানী শহর প্রাগ। হাতে সময় থাকলে প্রাগ থেকে ঘুরে আসতে পারেন পশ্চিম বোহেমিয়ার কার্লভি ভেরি। এই সফরে সেনগেন ভিসা লাগবে। স্থানীয় সময় ভারতের থেকে সাড়ে তিন ঘণ্টা পিছিয়ে। চেক রিপাবলিকে চেক মুদ্রা, করুনার ব্যবহার হলেও ইউরোর প্রচলন সর্বত্র।
দশ-বারো দিনে মিশর
আফ্রিকা মহাদেশের উত্তর-পূর্ব কোণে অবস্থিত মিশর ছুঁয়ে আছে এশিয়া মহাদেশের দক্ষিণ-পশ্চিম কোণ। নাইল উপত্যকাকে কেন্দ্র করে গড়ে ওঠা সুপ্রাচীন মিশরীয় সভ্যতার গল্প আকৃষ্ট করে না এমন লোক পাওয়া কঠিন। মিশরের পিরামিড ছুঁয়ে দেখার, সাহারায় পা রাখার, প্রাচীন সভ্যতার অবশেষ স্বচক্ষে দেখার সুলুকসন্ধান রইল এই লেখায়। মিশরের আনাচেকানাচে যেমন ছড়িয়ে আছে প্রাচীন সভ্যতার অবশেষ, তেমনই প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের খনিও আছে সেখানে। সব কিছুর আস্বাদ পেতে দিন ১০-১২ সময় হলে ভালো হয়।
সাতকোশিয়ার জলে-জঙ্গলে
সাত ক্রোশ ব্যাপী গিরিখাতের মধ্য দিয়ে বয়ে গেছে মহানদী। তাই তার নাম সাতকোশিয়া। মহানদীর কমলডিহির ঘাট থেকে শুরু হয় নৌকাবিহার। বর্ষায় অরণ্যের সিক্ত-শ্যামল রূপ মুগ্ধ করে, তবে, খুব বেশি বৃষ্টি হলে মহানদীতে নৌবিহারের অনুমতি মেলে না। সাতকোশিয়ার এদিক সেদিক অরণ্য, ঝরনা, প্রাচীন মন্দির নিয়ে এক জমাটি ভ্রমণ।
পুরীর কাছেই দুই শিল্পগ্রাম রঘুরাজপুর ও পিপলি
২০০০ সালে ইন্ডিয়ান ন্যাশনাল ট্রাস্ট ফর আর্ট অ্যান্ড কালচারাল হেরিটেজ সংস্থা রঘুরাজপুরকে ‘হেরিটেজ ভিলেজ’ স্বীকৃতি দিয়েছে।
সবুজে সবুজ জুকু ভ্যালি
ফুলের গাছ দিয়ে সুন্দর সাজানো সেমেট্রিতে অচেনা সৈন্যদের কবরের ফলক জুকু ভ্যালি দেখে চোখের পাতা ভিজে আসে।
গ্রামের নাম কাফলানি
লেখা ও ছবি: স্বাতী বসু মুসৌরি থেকে দশ কিলোমিটার দূরের গ্রাম কাফলানি। পাখি দেখে, শুয়ে-বসে, এদিক-সেদিক ঘোরাঘুরিতে কেটে যাবে অলস আয়েসি তিন-চার দিন। আকাশ পরিষ্কার থাকলে দেখা দেবে হিমালয়ের তুষারশৃঙ্গ।
বনের পাখি ||
আপনিও লেখা-ছবি পাঠাতে পারেন 'বনের পাখি' বিভাগে। পাখিটি কোথায় দেখলেন, পাখিটির বৈশিষ্ট্য ২০০ শব্দের মধ্যে লিখে ছবি-সহ আমাদের দপ্তরে পাঠান। লেখা হতে হবে ওয়ার্ড ফাইলে, ইউনিকোড ফন্টে। পাখির ছবির রেজলিউশন হতে হবে ৩০০ ডিপিআই। মাপ হতে হবে ৮\"x১২\"। সাবজেক্ট লাইনে ‘বনের পাখি’ (পাখির নাম) লিখে ই-মেল করুন এই ঠিকানায়: bhraman.pix@gmail.com একসঙ্গে দু'টির বেশি ই-মেল পাঠাবেন না।
নোটবহ পিয়ালির মাকালু শৃঙ্গস্পর্শ
এই ট্রেনে এ সি চেয়ার খাবার-সহ ভাড়া পড়বে ১,২৬৫ টাকা। এক্সিকিউটিভ চেয়ারকারে ভাড়া ২,৪২০ টাকা।
বিশ্বের বিস্ময়
একই সঙ্গে বিজ্ঞানীদের অনুমান, মেনারার থেকেও লম্বা ইয়েলো মেরান্টি গাছ এই অঞ্চলে আরও থাকতে পারে। যেগুলি হয়তো এখনও আবিষ্কৃত হয়নি।
মান্দালয়ের পথে পথে লেখা ও ছবি: পৃথ্বীরাজ ঢ্যাং
ছবি তুলতে তুলতে বিকেল চারটে বাজতেই, একটি পথচলতি অটোরিকশা রিজার্ভ করে ইউ বেন ব্রিজের দিকে চললাম, আজ সূর্যাস্ত দেখতেই হবে।
ধরমশালা কাংড়া মান্ডি
হিমাচলে গাড়িভাড়া সমগ্র হিমাচল ভ্রমণে বাসের উপর নির্ভর না করে গাড়িভাড়া করাই শ্রেয়। ছােট গাড়ির ভাড়া পড়বে দিনপ্রতি ৩,০০০-৩,৫০০ টাকা। সুমাে জাতীয় গাড়িতে ৩,৪০০-৩,৮০০ টাকা, ট্র্যাভেরা গাড়িতে খরচ ৪,২০০-৪,৫০০ টাকা, ইনােভা এবং জাইলাে গাড়িতে খরচ ৪,৪০০-৪,৮০০ টাকা, টেম্পাে ট্র্যাভেরাতে খরচ ৫,০০০-৫,৫০০ টাকা। গাড়ির জন্য যােগাযােগ করতে পারেন: a৯৮৩০৩-৭১৭৪৪, ৯৪৩৩৮-১৩৬৭৮ তবে দিন সংখ্যা এবং কিলােমিটার কমবেশির উপর গাড়িভাড়াও ওঠা-নামা করে। দিনসংখ্যা যদি বেশি হয় তাহলে গাড়িভাড়া মােটামুটি একই থাকবে। কিন্তু দিনসংখ্যা কম হলে গাড়িভাড়া বাড়ার সম্ভাবনা থাকে। গাড়িভাড়া করতে হলে সিমলা থেকে শুরু করে ফেরার পথে কালকা পর্যন্ত অথবা সিমলা বা চণ্ডীগড় থেকে শুরু করে ফেরার পথে চণ্ডীগড় পর্যন্ত নির্দিষ্ট ভ্রমণসূচি অনুযায়ী গাড়ি বুক করে ফেলাই বুদ্ধিমানের কাজ। মাঝে কোনও জায়গায় ব্রেক করে গাড়ি ছেড়ে দিয়ে, আবার গাড়িভাড়া করলে খরচ অনেক বেশি হবে।
দীনাপানি-কৌশানি
সমগ্র কুমায়ুনেই আকাশ জুড়ে ঝলমল করে তুষারশৃঙ্গের সারি। পুজোর সময়ের প্রাকৃতিক বিপর্যয় কুমায়ুন পাহাড় সামলে উঠেছে। এখন কুমায়ুনের সর্বত্রই অবাধ যাতায়াত।
সিমলা সাংলা ছিটকুল কল্পা সারাহান
সিমলা সাংলা ছিটকুল কল্পা সারাহান ধরমশালা কাংড়া মান্ডি
পাখি দেখতে পাকইয়ং
লেখা: সুব্রত সান্যাল ছবি: মৌমি সান্যাল সিকিমের পাকইয়ং বিমানবন্দর থেকে ডিকলিং পাচেখানি গ্রামখানি মাত্র ১৫ কিলােমিটার। পক্ষিপ্রেমিকদের স্বর্গরাজ্য। নিউ জলপাইগুড়ি থেকে পাকইয়ং ১২০ কিলােমিটার।
লােনাভালা-খান্ডালা
সহ্যাদ্রি পাহাড়ের গায়ে মাত্র পাঁচ কিলােমিটারের ব্যবধানে মহারাষ্ট্রের দুই যমজ শহর লােনাভালা-খান্ডালা। সবুজে সবুজ পাহাড়, হ্রদ, জলপ্রপাতে ভরা এই অঞ্চলে সারা বছর বেড়ানাে যায়, তবে আসল রূপ ধরা দেয় ঘনঘাের বর্ষায়।
নেপালের চা-বাগিচায়
পূর্ব নেপালের ইলাম জেলায় একের পর এক চা-বাগানে ঘেরা জনপদ। শ্রী অন্তু, কানয়ম, ইলাম জনপদ। মাইপােখরি হয়ে মাইমাজুয়ার পথে দেখা হয় গিতাং খােলা, রাতের খােলা, মাইখােলা নামের পাহাড়ি ঝােরার সঙ্গে। মাইমাজুয়া থেকে গাড়য়াল হয়ে পথ উঠেছে চিন্তাফু। সেখানে আকাশ জুড়ে তুষারশৃঙ্গের সারি।
কুর্গ ওয়েনাদ উটি মুন্নার কোদাইকানাল
বারাে দিনের সফরে কর্নাটক, কেরল, তামিলনাড়ুর পাহাড়, অরণ্য, হ্রদ, ঝরনা, মন্দির দর্শন।
ভ্রমণচিত্রের সহজপাঠ।
বেড়াতে গিয়ে আমরা সবাই ছবি তুলি। কিন্তু যে খুঁটিনাটি জানা থাকলে আপনার ছবি হয়ে উঠতে পারে একটি অনন্য ভ্রমণচিত্র, এখানে তারই ধারাবাহিক সহজপাঠ। এই সংখ্যায় দশম পর্ব।
পার্বতী উপত্যকায় দু'বার
হিমাচলে পার্বতী নদীর তীরে হরিন্দর পর্বতের ছায়ায় ছােট্ট জনপদ কাসােল। কাসােল থেকে আড়াই কিলােমিটার দূরে চালাল গ্রাম, ১০ কিলােমিটার দূরে গ্রাহান, প্রায় ২০ কিলােমিটার দূরে তােশ। তােশ যাবার পথেই পড়ে মণিকরণ। অতিমারির আগে-পরে দু’বার দুরকম পার্বতী উপত্যকা।
গালুডি দুয়ারসিনি ঘাটশিলা
গালুডি স্টেশনের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সুবর্ণরেখা আর গালুডি থেকে দুয়ারসিনি যাবার শালপিয়ালে ছাওয়া পথের পাশ দিয়ে বয়ে চলেছে সাতগুরুম নদী। গালুডি থেকে বুরুডি লেক যাবার পথে পড়ে ফুলডুংরি টিলা। ফাল্গুন পূর্ণিমার পর থেকে গােটা চৈত্র মাস জুড়ে সেখানে চলে বাহা উৎসব বা বসন্ত উৎসব।
বসন্তে পশ্চিমে
পুরুলিয়ার তুলিন দেখে চলুন ঝাড়খণ্ডের পাত্ৰাতু, রাজরাপ্পা, হাজারিবাগ। একাত্রায় ঘুরে নিতে পারেন পুরুলিয়ার মুরগুমা, জাজাহাতু, ফুটিয়ারি। এই বসন্তে পুরুলিয়া-ঝাড়খণ্ডের আকাশ বাতাস শিমুল পলাশে রাঙা হয়ে আছে।
গঙ্গাবক্ষে ইতিহাস দর্শন
গঙ্গার দু’তীরে ছড়িয়ে আছে ইংরেজ, ফরাসি, পর্তুগিজ, ওলন্দাজ, ড্যানিশ উপনিবেশের নানা স্মৃতি। ইতিহাসে আগ্রহীরা ঘুরে আসতে পারেন সড়ক ও নদীপথে দু’রাত-তিনদিনের সফরে।
দিনে দিনেই ৬ ভ্রমণ
অম্বিকা কালনা চিন্তামণি কর পক্ষী অভয়ারণ্য বাঁশবেড়িয়া দশঘরা পােলতার শালবাগান গােপীনাথ মন্দির সকাল সকাল বেরিয়ে এই ছটি জায়গার যে-কোনওটিতে দিনে দিনেই ঘুরে আসুন।
মেঘালয়ের মৌরিংখাং
শিলং থেকে গাড়িতে ওয়াখেন। সেখান থেকে নদীর ধার ধরে হাঁটা শুরু | পথে পেরােতে হবে নদীর উপর বাঁশের সাঁকো । তারপর এক অভিনব বাঁশপথ বেয়ে পৌঁছতে হবে রাজা মৌরিংখাংয়ের সামনে।